‘ভয়ংকর সারা দেশ, নিহত শতাধিক’

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘ভয়ংকর সারা দেশ, নিহত শতাধিক’। খবরে বলা হচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে গতকাল দেশের ১৯ জেলায় অন্তত শতাধিক প্রাণহানি হয়েছে। আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি।

হতাহতের তালিকায় আন্দোলনকারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে সিরাজগঞ্জে। এ জেলায় ১৩ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

সকাল থেকে অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ ১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এর বাইরে লক্ষ্মীপুর, ফেনী, নরসিংদী, সিলেট, কিশোরগঞ্জে, বগুড়া, মাগুরা, মুন্সীগঞ্জ, পাবনা, রংপুর, ভোলা, কুমিল্লা, শেরপুর, জয়পুরহাট, হবিগঞ্জ, কক্সবাজার ও বরিশালে হতাহতের খবর প্রকাশ করেছে।

নিহতদের বেশিরভাগ গুলিবিদ্ধ ছিলেন বলে হাসপাতালের বরাতে জানিয়েছে বণিক বার্তা।

ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘সিরাজগঞ্জে থানায় ঢুকে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা করা হয়েছে। এসময় ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া এনায়েতপুরে তিন আন্দোলনকারী নিহত হয়েছেন।

এদিকে রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও তার ভাইসহ ছয়জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জ সদরে সংঘর্ষে তিন জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট নিহত হয়েছেন ২৫ জন।

রোববার সকালে পাঁচ সহস্রাধিক আন্দোলনকারী লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও তাণ্ডব চালায়।

পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা থানায় ঢুকে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে।

এসময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গণপিটুনিতে ১৩ পুলিশ সদস্য মারা যান।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘‘One-point demand’: Protesters call for ‘March to Dhaka’ today’ অর্থাৎ, ‘এক দফা দাবি’: আজ ‘ঢাকা মার্চ’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের এক দফা দাবি – শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে “মার্চ টু ঢাকা” কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে।

তারা সারাদেশের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঢাকা অভিমুখে মিছিলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

রোববার দুপুর ২টার দিকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে মঙ্গলবার থেকে ঢাকা মার্চ হবে। তবে দিনভর সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায়, বিক্ষোভকারীরা এই কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বেলা তিনটায় শাহবাগে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রধান সংগঠক নাহিদ ইসলাম বলেন, “বিজয়ই আমাদের লক্ষ্য। সরকার যদি সহিংসতা অব্যাহত রাখে, আমরা তাদের জানাতে চাই যে আমরা গণভবনের দিকে তাকিয়ে আছি”।

প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, ‘আরও শক্তি দেখাতে চায় আওয়ামী লীগ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এক দফার আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো।

তাদের শক্তিপ্রয়োগের প্রেক্ষাপটে রোববার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ-সংঘাত হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন প্রতিরোধে নেমে পড়েন।

তাদের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা, রামদাসহ নানা রকম দেশি অস্ত্র। অনেকের হাতে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশে থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়।

আরও দু-তিন দিন দলের নেতা-কর্মীদের এভাবে শক্তিপ্রদর্শনের নির্দেশনা রয়েছে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান খবর, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সারা দেশে সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ বহাল করেছে সরকার।

গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কারফিউর এ সিদ্ধান্ত ঢাকাসহ সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা ও উপজেলা সদরের জন্য কার্যকর হবে।

আইএসপিআর জানায়, জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান ও দেশের প্রচলিত আইনের আলোকে তার প্রতিশ্রুত দায়িত্ব পালন করবে।

এ ব্যাপারে জনসাধারণকে কারফিউ মেনে চলার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৯শে জুলাই সারা দেশে কারফিউ জারি করেছিল সরকার।

যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘সহিংসতাকারীরা ছাত্র নয় সন্ত্রাসী, ওদের কঠোর হাতে দমন করুন’।

রোববার গণভবনে জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তাবিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তব্য দেন।

নৈরাজ্যবাদীদের কঠোর হাতে দমন করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘যারা সহিংসতা চালাচ্ছে তাদের কেউই ছাত্র নয়, তারা সন্ত্রাসী।’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণভবনের ওই বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন।

সেইসাথে ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), বিজিবি, এনএসআই ও ডিজিএফআই মহাপরিচালক, এনসিএসএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি)।

নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘সশস্ত্রবাহিনীকে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিন’। খবরে বলা হচ্ছে, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সশস্ত্রবাহিনীকে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সাবেক কর্মকর্তারা।

একই সাথে তারা দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে সামরিক রূপায়ণের অপচেষ্টার বিরোধিতা করেছেন।

দেশের বিদ্যমান অবস্থায় সঙ্কট নিরসনে করণীয় প্রসঙ্গে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা তুলে ধরেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তারা।

এ সময় সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের পক্ষে বিবৃতি পড়ে শোনান সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া।

তবে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্ন নেয়া হয়নি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল নুর উদ্দিন খানসহ ৪৮ জন সাবেক সেনাকর্মকর্তা।

সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে দেশের এমন পরিস্থিতি মেনে নেয়া সম্ভব নয়। আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধ করতে পারি না।

দেশ রূপান্তরের প্রথম পাতার খবর, ‘সামালের কৌশল বুঝতে পারছে না আ.লীগ’। খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের এক দফা দাবি আওয়ামী লীগে ঐক্য এনে দিলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল বুঝতে পারছে না ক্ষমতাসীনরা।

কয়েকজন নেতার বক্তব্য, শুরুর উদ্যোগ কিছুটা অগোছালো হওয়ায় সামাল দেয়ার চেষ্টা কাজে আসছে না।

তারা মনে করছেন দলীয়ভাবে মোকাবিলা বা সামাল দেয়া এখন অনেকখানি অসম্ভবও।

এখন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শক্ত হাতে দমন করার নীতি অনুসরণ করা ছাড়া বিকল্প উপায়ে নেই। সরকার একটি পরিকল্পনা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।

পরিকল্পনার প্রথমেই রয়েছে গ্রেফতার অভিযান, যেহেতু আন্দোলন ছাত্রদের হাত থেকে বেরিয়ে পড়েছে।

কোটাসংস্কার আন্দোলন দানা বাঁধার পর এবং সহিংসতার ঘটনায় দলের ও সরকারের নানা উদ্যোগ ভেস্তে যেতে থাকায় আওয়ামী লীগের ভেতরে এক ধরণের দুশ্চিন্তাও দেখা দেয়।

দলের নীতি নির্ধারনী মহল পরামর্শ দিয়েছে, কঠোর অবস্থানে না যাওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।

সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘ধাওয়া দিয়ে ৬ আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীকে পিটিয়ে হত্যা’। খবরে বলা হচ্ছে, নরসিংদীর মাধবদীতে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে সদর উপজেলার মাধবদী পৌরসভাসংলগ্ন মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে ছয় আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২টা থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন।

দুপুর একটার দিকে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের আন্দোলনস্থল ত্যাগ করতে বলেন; কিন্তু তারা রাজি হচ্ছিলেন না।

পরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হন।

এক পর্যায়ে বিক্ষোভ থেকে লাঠিসোটা হাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীকে ধাওয়া দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় দলটির কয়েকজন নেতাকর্মী দৌড়ে মাধবদী বড় মসজিদে আশ্রয় নেন।

আন্দোলনকারীরা তাদের ধরে এনে মসজিদের সামনেই এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়।

নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর, ‘Mobile internet shut down across Bangladesh again’ অর্থাৎ, ‘সারা বাংলাদেশে আবার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভের মধ্যে রোববার বাংলাদেশে আবারও মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত রোববার সাংবাদিকদের বলেন, গুজব ছড়াতে না দিতে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

শীর্ষস্থানীয় টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।

তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার কথা অস্বীকার করেছেন।

এর আগে গত ১৮ই জুলাই থেকে সারা দেশে মোবাইল এবং ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ২৩শে জুলাই আংশিকভাবে তা চলতে থাকে।

পরীক্ষামূলকভাবে ২৪শে জুলাই দেশব্যাপী ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং ২৮শে জুলাই থেকে মোবাইল ইন্টারনেট স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরপর ৩১শে জুলাই থেকে সোশ্যাল মিডিয়া চালু করে দেয়া হয়।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরআজকের রাশিফল
পরবর্তি খবরআ.লীগের সোমবারের ‘শোক মিছিল’ বাতিল