‘বিশ্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের ভোটযুদ্ধ আজ’

বিশ্ব ব্যবস্থা নির্ধারণের ভোটযুদ্ধ আজ— সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর তা নিয়েই এই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এখানে এই নির্বাচনকে ‘বিশ্বের বৃহৎ ক্ষমতাধর পদের লড়াই’ হিসাবে সঙ্গায়িত করা হয়েছে।

এই লড়াইয়ে প্রধান দুই প্রার্থী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা ছাড়াও আরও চার প্রার্থী নির্বাচনে লড়াই করছেন। তারা হলেন ৭১ বছর বয়সী কর্নেল ওয়েস্ট (স্বতন্ত্র), জিল স্টেইন (৭৪) গ্রিন পার্টির, চেজ অলিভার (৩৯) লিবারটেরিয়ান পার্টির এবং ক্লডিয়া দে লা ক্রুজ পার্টি ফর সোস্যালিজম অ্যান্ড লিবারেশন পার্টির প্রার্থী। কিন্তু সর্বশেষ চারজনকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রে ভোটার সংখ্যা ২৪ কোটি ৪০ লাখ। দেশটিতে আজ মূল নির্বাচন হলেও আগাম ভোট শুরু হয়েছে আগেই। প্রায় সাড়ে সাত কোটির বেশি ভোটার ইতোমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে পুরো বিশ্বব্যবস্থা। এর ফলাফলের মধ্য দিয়ে বিশ্বের অর্থনীতি, রাজনীতি, কূটনীতি সবই ঘুরে যেতে পারে। এজন্য বিশ্বের কোটি কোটি চোখ বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে আছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যেহেতু অনেক বড় খবর, তাই আজ দেশের প্রায় সব পত্রিকায় এটি প্রধান শিরোনাম হিসাবে এসেছে।

নানা টানাপড়েনেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহুমাত্রায় বড় হয়েছে— এটি বণিক বার্তা’র প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপড়েন দেখা দিলেও বিগত বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক নানা ক্ষেত্রে বড় হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে একক দেশ হিসেবে রপ্তানিকৃত পণ্যের শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগও (এফডিআই) সবচেয়ে বেশি এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি থেকে।

পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সেরও অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে দেশটি।

তাই, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বাণিজ্যের বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে নির্বাচনের ফলাফল যা-ই হোক না কেন, তা দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সম্পর্কে তা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।

ঘরে বসেই নতুন পাসপোর্ট শিরীনের— এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। যারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের পদত্যাগী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর লাল পাসপোর্টও বাতিল হয়েছে। রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি তিনি।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা সাবেক এ স্পিকার গত তেসরা অক্টোবর তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনসহ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরীর পাসপোর্টের আবেদন করার বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রাখেন। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অর্ডার, ১৯৭৩-এ এই অধিকার দেওয়া আছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের আসলে কিছু করার নেই।”

এদিকে গত ১০ই অক্টোবর তাদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি দেওয়ার তারিখ ছিল, যা তারা ঘরে বসেই দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ নিয়মাবলিতে বলা আছে, সবকিছু ঘরে বসে করতে পারলেও নির্ধারিত তারিখে আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দিতে আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।

বিদেশি ‘নাগরিকত্ব’ নিয়ে মন্ত্রী-এমপি হন ২৪ জন— এটি দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ২৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব (কারও কারও ক্ষেত্রে রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড) থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিদেশি কোনও রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কোনও কোনও রাষ্ট্রে রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরের ধাপে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গোপনে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ‘রেসিডেন্স কার্ড’ (স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি) রয়েছে বেলজিয়ামের। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যুক্তরাজ্যের নাগরিক। সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জুনাইদ আহ্‌মেদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধ অনুমতি বা ‘গ্রিন কার্ড’ রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করলে বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করলে তিনি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হতে পারেন না।

রাষ্ট্রদূত নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন— মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, চীন, সৌদি আরবসহ পূর্ব-পশ্চিমের ২১টি দেশ ও সংস্থায় রাষ্ট্রদূত পদমর্যাদায় প্রস্তাবিত নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

দীর্ঘ ওই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের অনেকের বিরুদ্ধে পেশাদারিত্বের সীমা লঙ্ঘন করে পতিত শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গে ব্যক্তিগত খায়-খাতির থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। কারও কারও বিরুদ্ধে সরকারি চাকরির পাশাপাশি গোপনে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।

ছাত্র-জনতার রক্তাক্ত অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন অবশ্য উত্থাপিত অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। মানবজমিনের জিজ্ঞাসার জবাবে গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, প্রস্তাবিত দূতদের এগ্রিমো চাওয়া কিংবা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি গোপনীয়।

“সুতরাং এটি কোনো অবস্থাতেই প্রকাশ করা যাবে না যে কাকে কোথায় প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত স্পেকুলেশন চলবে- এটা ধরেই আমরা আমাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছি।”

Govt faces TK50,000cr in power and energy dues, plans special bond for payment relief বা সরকার বিদ্যুৎ ও শক্তি খাতে ৫০,০০০ কোটি টাকার বকেয়া পরিশোধের জন্য বিশেষ বন্ড জারি করার পরিকল্পনা করছে— দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

এতে বলা হয়েছে, সরকারের বিদ্যুৎ ও শক্তি খাতে বকেয়া ঋণ রেকর্ড পরিমাণ প্রায় ৫০,০০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যার মধ্যে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ খাতেই গত অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৪৫,৫০০ কোটি টাকা জমা হয়েছে।

এই পরিমাণ বকেয়া বর্তমান অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। প্রতিমাসে নতুন বকেয়া হিসাবে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা যোগ হচ্ছে। কিন্তু সীমিত রাজস্ব সংগ্রহের কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় মাসে মাত্র দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে পারছে।

এই বকেয়া পরিশোধের জন্য মন্ত্রণালয় পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি বন্ড জারি করার পরিকল্পনা করছে, যাতে কিছু পরিমাণ বকেয়া পরিশোধের সামর্থ্য অর্জিত হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এমনটাই জানিয়েছেন অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা।

পুলিশের বলপ্রয়োগ পদ্ধতি বদলের দিকে জোর— সমকাল পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির কিছু ধারা পরিবর্তনের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করছেচ পুলিশ সংস্কার কমিশন।

পাশাপাশি মব নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ পদ্ধতি বদলের দিকেও জোর দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, প্রবাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ এবং অনুপস্থিত ভোটারের জন্য পোস্টাল ব্যালট নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন সংস্কার কমিশন। জাতীয় পরিচয়পত্রের সমন্বয় প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যাপারেও জোর দেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্কার কমিশনপ্রধানদের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এসব তথ্য জানিয়েছে।

বৈঠকে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের কাজ পুরোদমে চলছে। এরই মধ্যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সবার মতামত সংগ্রহ শুরু হয়েছে। কমিশনের সদস্যরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সফর করে জনসাধারণের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

Reforms only after a strong consensus বা শুধুমাত্র ঐকমত্যের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার হওয়া উচিৎ— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে জনগণের মতামত নিয়ে সংবিধান সংস্কার করা উচিৎ।

“কোনও ব্যক্তির উচিত নয় এটি [সংবিধান] কলমের এক খোঁচায় পরিবর্তন করা,” সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গতকাল তিনি এ কথা বলেন।

“যদি কোনও ব্যক্তি, এমনকি তা রাষ্ট্রপতি হলেও, মনে করেন যে সংবিধানে কিছু ভুল আছে, তবে তার জন্য এককভাবে এটি পরিবর্তন করা উপযুক্ত হবে না। তখনই সংবিধান সংশোধনের দিকে এগোনো উচিৎ, যখন একটি শক্তিশালী ঐকমত্য বা সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত প্রতিষ্ঠিত হবে,” বলেন ড. কামাল।

তিনি মনে করেন যে পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সংবিধান সংশোধন করা যেতেই পারে। তবে সেজন্য মানুষের মতামত নেওয়াটা জরুরি।

দীপুর সাম্রাজ্যে টিপুই সব— আজকের পত্রিকা’র প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন ডা. দীপু মনি। যার দেখভাল করতেন তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।

চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন।

দীপু-টিপুর সাম্রাজ্যে সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী দল, এমনকি নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন অসহায়। তবে পাঁচই অগাস্টের পর দীপু মনি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে। শোনা যায়, ডা. টিপু দেশ ছেড়েছেন। তাই বদলে গেছে চাঁদপুরের পরিস্থিতি। তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন মানুষ। বাদ নেই আওয়ামী লীগের নেতারাও।

নিষ্পত্তিতে ‘কচ্ছপ গতি’ ক্ষোভ বিএনপিতে— যুগান্তর পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেওয়ার তিন মাস হয়ে গেলেও এখনও ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তির কার্যক্রম।

এতে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার নিষ্পত্তি হলেও এখনও প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা এসব মামলাকে মিথ্যা ও গায়েবি বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।

পটপরিবর্তন হলেও এখনও এসব রাজনৈতিক মামলায় নিয়মিত আদালতের এক বারান্দা থেকে আরেক বারান্দায় ছুটতে হচ্ছে তাদের। আগের মতো গ্রেফতার আতঙ্ক না থাকলেও মামলার ভাগ্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

সূত্রঃ বিবিসি

পূর্বের খবরমার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে ঠাঁই পেল বাংলা
পরবর্তি খবরউত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়