বিশ্বকাপে নজর থাকবে যাদের ওপর

আজ পর্দা উঠছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারের আসরটি বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবর্তন করা হয় এবারের আসরের ভেন্যু। যার কারণে টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আবর আমিরাতে। ছেলেদের ক্রিকেটের চেয়ে তুলনামূলকভাবে মেয়েদের ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা কম। মিডিয়া কাভারেজ থেকে শুরু করে দর্শকদের চাহিদা এবং স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ। সবখানে চোখে পড়ে পার্থক্যটা।

তবে যারা সত্যিকারের ক্রিকেটপ্রেমী। তারা নিশ্চিতই চোখ রাখবে এই টুর্নামেন্টে। শিরোপার জন্য এবারের আসরে লড়াই করবে দশ দেশ। টুর্নামেন্টের বাছাই করে সেরা পাঁচ ক্রিকেটার নিয়ে এই প্রতিবেদন। যাদের ওপর বাড়তি নজর থাকবে গোটা ক্রিকেট বিশ্বের। যারা একা হাতে ঘুরিয়ে দিতে পারে ম্যাচের মোড়-

নাহিদা আক্তার (বাংলাদেশ) 

বর্তমানে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় নাম নাহিদা আক্তার। বল হাতে সাম্প্রতিক সময়টা দুর্দান্ত কাটাচ্ছেন ডানহাতি এই স্পিনার। সবশেষ ২০২৩ সালে এক দিনের ফরম্যাটের ক্রিকেটের বিশ্বের সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন নাহিদা। এর আগে ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় নাহিদার। এরপর থেকে দেশের নারী ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখছেন এই ক্রিকেটার।

 বাংলাদেশ নারী দলের স্পিনার নাহিদা আক্তার।

বাংলাদেশের জার্সি গায়ে মোট ৮৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন নাহিদা। শিকার করেছেন ৯৯টি উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে তার সেরা বোলিং ফিগার ৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট তুলে নিতে পটু এই টাইগ্রেস স্পিনার। যার কারণে এবারের আসরে বাড়তি নজর থাকবে তার ওপর।

স্মৃতি মান্ধানা (ভারত) 

ভারতের নারী ক্রিকেটের ব্যাটিংয়ে মূলভিত্তি বলা হয় স্মৃতি মান্ধানাকে। ২০১৪ সালে ভারতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন ২৮ বছর বয়সী এই ওপেনার। ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ১৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৩৪৯৩। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ২৬টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন মান্ধানা।

 ভারতের ব্যাটার স্মৃতি মান্ধানা।

এছাড়াও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও এই ভারতীয়। তার অভিজ্ঞতা ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং যে কোনো দলের জন্য বড় হুমকি। যার কারণে এবারের আসরে ক্রিকেট বিশ্বের চোখ থাকবে এই ভারতীয় ওপেনারের ওপর।

বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া) 

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছয় বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে অজি মেয়েরা। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ব্যাটার বেথ মুনি। নারী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সেরা ব্যাটারের তালিকায় শীর্ষে আছে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

 অস্ট্রেলিয়া নারী দলের ব্যাটার বেথ মুনি।

যার কারণে এবারের আসরেও সবার নজর থাকবে ৩০ বছর বয়সী অজি নারী ক্রিকেটারের ওপর। ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ১০১ ম্যাচ খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮৫৮ রান। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার নামের পাশে আছে দুটি সেঞ্চুরি ও ২৩টি হাফ-সেঞ্চুরি।

সোফি এক্লেস্টোন (ইংল্যান্ড) 

আইসিসির টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বোলারদের র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বরে অবস্থান করছেন ইংলিশ বোলার সোফি এক্লেস্টোন। এই বামহাতি স্পিনার ইংল্যান্ডের হয়ে ৮৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। ১৪ গড়ে শিকার করেছেন ১২৬টি উইকেট।

 ইংল্যান্ড নারী দলের বোলার সোফি এক্লেস্টোন।

মাত্র ২০ বছর বয়সী টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বোলার তালিকায় শীর্ষে ওঠেন ২৫ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। নিজের বোলিং-দক্ষতা দিয়ে যে কোনো সময় ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন এই ইংলিশ বোলার।

ফাতিমা সানা (পাকিস্তান) 

পাকিস্তান নারী ক্রিকেটের উদীয়মান তারকা বলা হয় অধিনায়ক ফাতিমা সানাকে। ২০১৯ সালে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। দলের খারাপ সময় ব্যাট বা বল দুই বিভাগেই অসামান্য ভূমিকা পালন করেন তিনি। যার কারণে বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টে বাড়তি নজর থাকবে এই পাকিস্তানি পেসারের ওপর।

 পাকিস্তান নারী দলের অধিনায়ক ফাতিমা সানা।

জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৩টি টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৩১টি উইকেট শিকার করেন ফাতিমা। বোলার হলেও দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে রান তুলতে পারেন এই পাকিস্তানি অধিনায়ক। যার কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের বাড়তি নজর থাকবে ফাতিমা সানার ওপর।

পূর্বের খবরঢাকা থেকে ৬ গন্তব্যে নৌযান চলাচল বন্ধ
পরবর্তি খবরমিরাজের কাছ থেকে উপহার পেয়ে, যা বললেন কোহলি