লাদাখ: গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারত-চিনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত ছিল। উত্তেজনা প্রশমনে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা, শান্তি স্থাপনের চেষ্টা চলছিল। চিনের তরফে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরানোর কথা বললেও তার মধ্যেই চলছে আগ্রাসনের চেষ্টা। লাদাখে নিজেদের অবস্থান থেকে এতটুকুও সরেনি চিন। এরপর শনিবার ও রবিবারের পর ফের সোমবার রাতে প্যাংগং লেকের দক্ষিণে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করল লাল ফৌজ। গত দু’দিনের মতো সোমবারও তাদের রুখে দিল ভারতীয় সেনা।
এর মধ্যেই বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার৷ পূর্ব লাদাখের প্যাংগং লেকের দক্ষিণে সবকটি পোস্ট দখল করল ভারতীয় সেনা৷ সরকারের সূত্র থেকে খবর, প্যাংগং লেকের দক্ষিণে সব পজিশন ও পোস্টের দখল নিল ভারত৷ সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনা চিনের লোকেশনে প্রবেশ করিনি৷ কিন্তু ভারতের পোস্টগুলিতে আধিপত্য কায়েম করেছে তাঁরা৷
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা বলেন, এই মুহূর্তে আমরাই এগিয়ে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা সীমানা সুরক্ষিত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷ তবে আমরা আশা করছি সীমান্ত নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসবে চিন৷
এদিকে, গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর রাতেও একই ভাবে আগ্রাসনের চেষ্টা করে পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ তবে মঙ্গলবারও ভারত-চিনের দুই দেশের মধ্যে ব্রিগেড কম্যান্ডর স্তরের বৈঠক হয়েছে চুসুলে৷ গালওয়ান কান্ডের পর পূর্ব লাদাখ নিয়ে প্রায় চার মাস ধরে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে ভারতের।
প্যাংগং লেকের কয়েকটি জায়গায় ভারত-চিনা সেনারা একে অপরের ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেও এসে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মঙ্গলবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই বৈঠকে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সিডিএস বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান নারাভানে।