ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে।
রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে গত শুক্রবার ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ জেলায় ‘পরিবর্তন যাত্রা’র উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া ভাষণে অমিত শাহ এই হুমকি দেন। খবর দ্য টেলিগ্রাফের
জেলার সাঁওতাল পরগনায় আয়োজিত সমাবেশে বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, এই ‘পরিবর্তন যাত্রা’ আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে গিয়ে পরিবর্তনের বার্তা দেবে।
পরিবর্তন প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, কিসের জন্য পরিবর্তন? ঝাড়খন্ডে মুখ্যমন্ত্রী বদলানো নয়, এমনকি বিজেপিকে ক্ষমতায় আনাও নয়। এই দুর্নীতিবাজ সরকারকে সরিয়ে দুর্নীতি দমন করতে পারে—এমন একটি সরকার আনার জন্য পরিবর্তন করতে হবে।
অমিত শাহ বলেন, ‘আমি আপনাদের সবাইকে ঝাড়খন্ডে বিজেপি সরকার গঠনের জন্য আবেদন জানাতে চাই। এখানে সরকার গঠন করতে পারলে আমরা প্রত্যেক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করব।’
মাস কয়েক আগে হওয়া লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা অভিযোগ করে বলেছিলেন, সাঁওতাল পরগনায় আদিবাসী জনসংখ্যা কমছে। আর ক্রমেই বাড়ছে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের’ সংখ্যা। এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, এই জমি আদিবাসীদের। কিন্তু এখানে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা বাড়ছে। আদিবাসীর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। যেহেতু অনুপ্রবেশকারীরা জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডির ভোটব্যাংক, তাই এখানকার সরকার জনকল্যাণের পরিবর্তে অনুপ্রবেশকারীদের কল্যাণে নিযুক্ত রয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, রাজ্যের পাকুড় জেলায় ‘হিন্দুরা ঝাড়খন্ড ছাড়ো’ স্লোগান তোলা হচ্ছে।
অমিত শাহ বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি তদন্তের জন্য ঝাড়খন্ড হাইকোর্ট একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়ায় তিনি আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চান। এই তদন্তের জন্য কেন্দ্র শিগগির ঝাড়খন্ড সরকারের সহায়তায় একটি কমিটি গঠন করবে।
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) হেমন্ত সরেনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার হিসেবে অভিহিত করেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, হেমন্ত সরেনের সরকার দুর্নীতি ছাড়া কিছুই করেনি। এই সরকার দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ সরকার।