বগুড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হয়রানির অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় গতকাল কাহালু পাইকর ইউনিয়নের আড়োলা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্ত আইসিটি শিক্ষকের স্থায়ী অপসারণের দাবিতে দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন,রাস্তা অবরোধ,প্রধান শিক্ষক এবং কাহালু উপজেলায় নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরিশেষে সকাল ৭ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

শিক্ষার্থীরা জানান,শিক্ষক আব্দুর রহিমকে স্থায়ী ভাবে চাকরিচ্যুত না করা পর্যন্ত তারা ক্লাস বর্জন করাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। আরো জানা যায়,শিক্ষক আব্দুর রহিম আইসিটি ল্যাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর মতো অশ্লালীন আচরণ করে আসছিল দীর্ঘ দিন থেকে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উল্লেখিত বিষয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষককে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করলেও অভিযুক্ত শিক্ষক তার নিকট আত্মীয় হওয়ার তার বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ১৩ জন ছাত্রী শিক্ষক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে,তার সত্যতা মেলায় কমিটির পক্ষ থেকে গত ২২ এপ্রিল তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া কমিটি তাকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডকেও অবহিত করে।

এদিকে শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রধান শিক্ষকসহ অভিযোগকারী ছাত্রীদের সাথে সমঝোতায় বসেন। সেখানে ছাত্রীদের দাবি ছিল,শিক্ষক আব্দুর রহিম ভুল স্বীকার করে লিখিত অঙ্গিকার দিলে ছাত্রীরা তাকে মাফ করে দিয়ে তাদের অভিযোগ তুলে নিবে। ছাত্রীদের দাবি শিক্ষক আব্দুর রহিম মেনে নিয়ে সম্প্রতি তিনি অঙ্গিকারনামায় তার স্বপক্ষে মিথ্যা তথ্য লিখে অভিযোগকারী ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর নেন। আর অঙ্গিকারনামাটি উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে জমা দিয়ে তার বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহার করাসহ মূল বেতন উত্তোলনের চেষ্টা চালানোর বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও বিক্ষুদ্ধ হয়ে আবারও আন্দোলনে নামেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোবায়ের হোসেন নোমান বলেন,উল্লেখিত ঘটনায় শিক্ষক আব্দুর রহিম এখনও বরখাস্ত রয়েছেন। তাকে মূল বেতনের অর্ধেক বেতন প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন করে সড়ক অবরোধ করার বিষয়টি তিনি সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছে।

অপরদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রহিমের সাথে তার ব্যক্তিগত মুঠো ফোন নাম্বারে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্য নয়,সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা আফরোজ জানান যে,অভিযুক্ত শিক্ষক বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত অব্যাহত আছে এবং দোষি প্রমাণিত হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরদ্রাবিড় ও গম্ভীরের মধ্যে পার্থক্য কী, জানালেন অশ্বিন
পরবর্তি খবরশেয়ার কারসাজির জন্য সাকিব আল হাসান, আবুল খায়েরসহ সাত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা