কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন জানায়, আগামী অক্টোবরের প্রথমাংশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ সার্বিক বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। কোথাও বাড়িঘরে, কোথাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও উপাসনালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুর্গাপূজা উদযাপন ঘিরে কোথাও কোথাও হামলার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে দেশ স্থিতিশীলতার দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।
কমিশন আসন্ন দুর্গাপূজায় সব মণ্ডপে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানায়। কমিশন মনে করে, সারা দেশব্যাপী বিশাল সংখ্যক (৩২৬৬৬টি) পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এলাকাভিত্তিক সক্ষমতা যাচাই করে উপযুক্ত করে তোলা বা সহযোগী শক্তি গঠনের মাধ্যমে দায়িত্ব প্রতিপালন নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।