রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের শেষ টেস্টে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই চাপে রাখার কাজটা তিনিই করেছিলেন। গতকাল তৃতীয় দিনের পড়ন্ত বিকেলে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং ‘নাইট ওয়াচম্যান’ খুররম শেহজাদকে আউট করে বাংলাদেশকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে যান হাসান মাহমুদ।
আজ চতুর্থ দিনের শুরু থেকেও তোপ দাগেন বাংলাদেশের পেসাররা। দিনের প্রথম সেশনে পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে ধস নামানোর কাজটা করেন নাহিদ রানা ও তাসকিন আহমেদ। তবে মধ্যাহ্নবিরতির পর স্বাগতিকদের লেজ ছাঁটাইয়ের দায়িত্বটা যেন হাসানই নিলেন। পাকিস্তানের শেষ ৪ উইকেটের তিনটিই তাঁর দখলে। তাতে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করার পথ খুঁজে পেল, হাসানও ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই প্রথমবারের মতো পেয়ে গেলেন ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা।
হাসানের বোলিং বিশ্লেষণ: ১০.৪ ওভার-১ মেডেন-৪৩ রান-৫ উইকেট, যা বিদেশের মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের কোনো পেসারের তৃতীয় সেরা বোলিং। তবে একটা জায়গায় পেসারের মধ্যে হাসানই এখন সবার ওপরে। যেকোনো সংস্করণ মিলিয়ে এটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে হাসানই এখন ‘ফার্স্ট বয়’। মানে তাঁর এই বোলিংই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশি পেসারের সেরা।
সব সংস্করণ মিলিয়ে এর আগে বাংলাদেশি পেসারদের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেরা বোলিং ছিল মোস্তাফিজুর রহমানের; ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭৫ রানে ৫ উইকেট। আর টেস্টে পেসারদের মধ্যে সেরা বোলিং ছিল সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদের; ২০০৩ সালে মুলতানের সেই ‘হৃদয়বিদারক’ হারের ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম পেসার হিসেবে বিদেশের মাটিতে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন হাসান। তবে এমন ঘটনা ক্রিকেট–বিশ্ব দেখল অষ্টমবার। রবিউল ইসলাম যে দুবার এই স্বাদ পেয়েছেন; ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে একবার ৬, আরেকবার ৫ উইকেট নিয়েছিলেন রবিউল। তিনি ও হাসান ছাড়া বিদেশে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে ৫ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশি বোলাররা হলেন ইবাদত হোসেন, মনজুরুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও রুবেল হোসেন।