নড়াইলে যেন মরণফাঁদ ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতাল। কেউ ভুল অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসব করে ভুগছেন শারীরিক জটিলতায়। আবার কারো কেটে ফেলা হচ্ছে জরায়ু। এসব ভুল চিকিৎসায় অভিযুক্ত ক্লিনিক মালিক দায় চাপাচ্ছেন ভাগ্যের উপর। ভুইফোঁড় ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। ক্লিনিক নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা কঠোরভাবে তদারকি করার আশ্বাস সিভিল সার্জনের।
একজন মা কতটা অসহায় হতে পারেন, বুকের মানিক কাঁদলেও কাছে টেনে নিতে পারছেন না। গেল ১৪ ডিসেম্বর নড়াইল শহরের ইমন ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন ঝুমা বেগম। কিছুদিন পর জরায়ু ও প্রস্রাবের নালীতে ধরে পচন। জরুরি ভিত্তিতে খুলনা মেডিকেলে ফের অস্ত্রোপচার। এবার কেটে ফেলা হয় জরায়ু।
শুধু ঝুমা বেগম নন, গৃহবধূ মৌসুমীরও ইমন ক্লিনিকে সন্তান প্রসব হয় ভুল অস্ত্রোপচারে। এছাড়া ভুল চিকিৎসার অভিযোগ রয়েছে, জেলার বেশিরভাগ ক্লিনিকে।
এসব ক্লিনিকে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিংবা নার্স। অপারেশন থিয়েটারে নার্সের সাথে তদারকি করেন খোদ ক্লিনিক মালিক। এদিকে, ব্যাঙের ছাতার মতো যত্রতত্র গড়ে ওঠা ক্লিনিক নিয়ন্ত্রণে ও চিকিৎসা ব্যবস্থা তদারকিতে আরও কঠোর হওয়ার আশ্বাস দিলেন সিভিল সার্জন।
নড়াইলে ৬০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে, যার বেশিরভাগেরই নেই লাইসেন্স।