ডেস্ক রিপোর্ট: ধর্ষণের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া নারীর কুমারীত্ব পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিষিদ্ধ করেছে পাকিস্তানের একটি আদালত। এটিকে যুগান্তকারী রায় বলে অভিহিত করেছেন দেশটির নারী অধিকার কর্মী ও সংগঠনগুলো।
লাহোর হাইকোর্ট
আজ মঙ্গলবার আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সোমবার লাহোর হাইকোর্ট এ রায় ঘোষণা করেন। বলা হয়েছে, দেশজুড়ে ধর্ষণ মামলায় মেডিকো-আইনী পরীক্ষকরা যেটিকে রুটিন বিষয় হিসেবে নিয়েছিলেন, সেটি আক্রমণাত্মক এবং নারীর দেহের গোপনীয়তা লঙ্ঘন।
বিচারপতি আয়েশা এ মালিক বলেন, কুমারীত্ব পরীক্ষা অত্যন্ত আক্রমণাত্মক, যা বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো প্রয়োজনীয়তা না থাকা সত্ত্বেও যৌন সহিংসতার ক্ষেত্রে মেডিকেল প্রোটোকলের নামে চালানো হয়।
এটিকে একটি অবমাননাকর প্রথা আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কুমারীত্ব পরীক্ষা অভিযুক্ত এবং যৌন সহিংসতার ঘটনার প্রতি মনোনিবেশ করার বিপরীতে ভুক্তভোগীর ওপর সন্দেহ পোষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বিচারপতি মালিক এই পদ্ধতিকে তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন। যা পাকিস্তানি আইন বা আইনী পদ্ধতিতে স্পষ্টভাবে বাধ্যতামূলক নয়, বরং ধর্ষণ তদন্তের একটি নিয়মিত অংশ হিসেবে রয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।