বছরের পর বছর ধরে কোরীয় উপত্যকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেশ কয়েক বছর ধরে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কাও রয়েছে। তারই মধ্যে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তিদের মধ্যে বৈঠকের নজির স্থাপন হয়েছে।
এজন্য বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে দুই কোরিয়ার। আর সেখানে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের মধ্যে বৈঠকের যাবতীয় আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার কাজ করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি হ্যারিস।
বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন এই কূটনীতিকের গোঁফ নিয়ে বেজায় চটেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। জানা গেছে, হ্যারি হ্যারিসের মা জাপানের নাগরিক। হ্যারিও জাপানে জন্ম নিয়েছেন। পরে তিনি মার্কিন নৌ-বাহিনীর অ্যাডমিরাল ছিলেন।
নৌ-কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় তার গোঁফ ছিল না। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্তের সময়ও তার গোঁফ ছিল না। তবে পরে তিনি গোঁফ রাখলে তা নিয়ে দেশটিতে অসন্তোষ দেখা দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপানের উপনিবেশ ছিল কোরিয়ায়। সেসময় আটজন জাপানের গভর্নর-জেনারেল তাদের নির্যাতন করেছেন। তাদের সবারই গোঁফ ছিল।
তবে এ ব্যাপারে হ্যারি বলেন, আমি আগে নৌ-বাহিনীর অ্যাডমিরাল ছিলাম। কূটনীতিক হওয়ার পর চেহারায় একটু পরিবর্তন আনতে গোঁফ রেখেছি।