‘দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে রোডম্যাপ দিতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার’

এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠকে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টাকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আগামীকাল শনিবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।

সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, বৈঠকে আগামী দু-তিন সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে একটি রোডম্যাপ জনগণের সামনে পেশ করতে পারেন বলে বিএনপি প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।

এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

আলোচনার পর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করবে সরকার।

এরপর প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন সম্পন্ন করার রোডম্যাপ জনগণের সামনে পেশ করবেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘প্রশাসন চালাতে চুক্তির পথে অন্তর্বর্তী সরকারও’– আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

খবরে বলা হয়েছে, দায়িত্ব নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছিল চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ তারা বাতিল করবে।

ঘোষণা অনুযায়ী তিন দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ অন্তত ১২ জন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে পুরোনো পথেই হাঁটল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। তারাও শুরু করেছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ।

এরই মধ্যে আগের আমলে বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া ও পদোন্নতিবঞ্চিত ছয়জন কর্মকর্তাকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, অতীতের সরকারগুলোর পথেই হাঁটছে এ সরকারও। প্রশাসনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধই করা যাচ্ছে না।

‘সব থানা চালু হলেও পুলিশ আগের মতো তৎপর নয়’– প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।

রাজধানীতে ঘটা কয়েকটি কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে খবরটি বলছে, আসামি ধরতে অভিযানে যেতে ভয় পাচ্ছে পুলিশ।

বিশেষ করে অপরাধী কোথায় জানা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেয়ার আগে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে তাদের।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাতিরঝিল থানার সরেজমিন তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, থানার কার্যক্রম এখনো পুরোদমে চালু হয়নি। টহল ও তল্লাশি আগের মতো চলছে না।

কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ সদস্যরা থানার বাইরে গিয়ে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প নিয়ে করা খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা-যশোরের মধ্যে নতুন ১৭০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষদিকে।

গত বছরের নভেম্বর থেকে আংশিকভাবে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। বর্তমানে চলছে তিনটি আন্তঃনগর ও দুটি মেইল ট্রেন। পণ্যবাহী কোনো ট্রেন চলছে না।

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে যাত্রী পরিবহন করে রেলপথটি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৩৭ কোটি টাকা।

যদিও রেলপথটি নির্মাণের আগে করা সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, চালুর প্রথম বছর যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করে আয় হবে ১ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা।

একই সঙ্গে ২০২৪ সালের মধ্যে রেলপথটির বার্ষিক আয় বেড়ে ১ হাজার ৪০২ কোটিতে দাঁড়ানোরও প্রাক্কলনও করা হয়েছিল।

সমীক্ষায় বলা হয়, চালুর প্রথম বছরে পদ্মার নতুন রেলপথ দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে প্রতিদিন ১২ জোড়া কনটেইনার ট্রেন চলবে।

২০২৪ সালে শুধু পণ্য পরিবহন করেই রাজস্ব আয় হবে ১ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা।

কিন্তু রেলপথটি আংশিকভাবে চালুর ১০ মাস পার হলেও কোনো আন্তঃদেশীয় পণ্যবাহী ট্রেনতো দূর, স্থানীয় পণ্যবাহী ট্রেনও চলেনি বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘কর্তাদের পকেটে ৩০ ভাগ’– যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

রেলওয়ে খাতের দুর্নীতি নিয়ে করা খবরটিতে বলা হয়েছে, রেলওয়ের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে রীতিমতো প্রকল্প নেওয়ার হিড়িক পড়েছিল।

নতুন নতুন প্রকল্প নিতেই বেশি আগ্রহ ছিল এ খাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, সচিবসহ কর্তাব্যক্তিদের।

কারণ বরাদ্দ অর্থের একটি বড় অংশ যায় কর্তাদের পকেটে-এটি এক রকম ‘ওপেন সিক্রেট’-অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

রেলওয়ে পরিকল্পনা দপ্তর সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি বলছে, গত ১৫ বছরে রেলওয়ে উন্নয়নে ৯৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাস্তবায়িত অধিকাংশ প্রকল্পের মেয়াদ ২-৩ বার বৃদ্ধি করাসহ ব্যয় বেড়েছে দুই থেকে চারগুণ।

৯৫ প্রকল্পের মধ্যে জরাজীর্ণ রেলপথ, রেলওয়ে ব্রিজ, মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন-কোচ সংস্কারে যথাযথ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়নি।

এ সময়ে ক্ষমতাধর বড় কর্তা (রেলপথমন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) শুধু নতুন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দিকে ছুটেছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।

‘গুমবিরোধী সনদে সই বাংলাদেশের’– কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুমের অভিযোগ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে উপদেষ্টাদের করতালির মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই সনদে স্বাক্ষর করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য বিশেষ করে মানবাধিকারকর্মীদের জন্য একটি বড় মাইলফলক।

‘কালো টাকা আর সাদা করা যাবে না’– দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম।

এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যমূলক নীতি বিবেচনায় ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যদের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

এছাড়াও প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তার জন্য ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী অধ্যাদেশের খসড়ায়ে চূড়ান্ত অনুমোদন এবং কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টার চতুর্থ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

‘আ’লীগের নেতৃত্বে পরিবর্তনের সুর’ – নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর।

এতে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি ও জেদি মনোভাবের কারণে আওয়ামী লীগের চরম বিপর্যয় ঘটেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিপর্যস্ত ও হতাশার মধ্যে রয়েছেন। অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে গেলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাও সম্ভব হচ্ছে না।

ফলে পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দলকে রাজনীতিমুখী হতে গেলে নেতৃত্বের পরিবর্তনের বিকল্প দেখছে না দলটির শীর্ষ নেতাদের উদারপন্থী অংশটি।

যদিও দলীয় প্রধানের পদ ছাড়তে এখনই শেখ হাসিনা প্রস্তুত নন বলে শেখ পরিবারের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে।

‘শেখ হাসিনা ও ২৯ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা’– সংবাদ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগ তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রিসভার বেশকিছু সদস্যের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে: এতে “গণহত্যায় উসকানি দাতা’ হিসেবে ২৯ জন সাংবাদিকের নাম রয়েছে৷

অভিযোগে মোট ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কিছু অজ্ঞাত আসামির কথা বলা হয়েছে, যাদের “দালাল সাংবাদিক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও কথিত সুশীল ব্যক্তি হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে রয়েছেন, একাত্তর টিভির সাবেক বার্তা প্রধান শাকিল আহমেদ ও সাবেক হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স মিথিলা ফারজানা, ডিবিসির সম্পাদক জাহেদুল হাসান পিন্টু; সাবেক তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাটি; এটিএন নিউজের সাবেক প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহা ও এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুনের মতো সিনিয়র সাংবাদিকরা।

‘আওয়ামী লীগের ৮ মন্ত্রী ও ৬ এমপি’র দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা’ – মানবজমিন পত্রিকার খবর এটি।

খবরটি বলছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আট মন্ত্রী ও ভেঙে দেয়া দ্বাদশ সংসদের ছয় সদস্যের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনে বৃহস্পতিবার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।

এরা হলেন- জাহিদ মালেক, দীপু মনি, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাধন চন্দ্র মজুমদার, নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, কামাল আহমেদ মজুমদার, শাহজাহান খান ও কামরুল ইসলাম। খবরে বলা হচ্ছে, এই আটজনের মধ্যে দীপু মনিকে পুলিশ গ্রেফতারকরেছে। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাকিরা প্রকাশ্যে আসেননি।

যে সংসদ সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এসেছে তারা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সালিম উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জিয়াউর রহমান, ময়মনসিংহ-১১ আসনের কাজীম উদ্দিন আহমেদ, মাদারীপুর-১ আসনের নুর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, নোয়াখালী-৩ আসনের মামুনুর রশিদ কিরণ এবং খাগড়াছড়ির কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরআজকের রাশিফল
পরবর্তি খবরআওয়ামী লীগ নেতা পান্নার লাশ নিয়ে এবার নতুন তথ্য দিল ভারতীয় পুলিশ