সমকালের প্রথম পাতার খবর, ‘ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক একটি ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না’।
প্রতিবেদনে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একটি ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না। রাজনৈতিক পরিবর্তন যাই ঘটুক, পরস্পরের প্রতি আমাদের ও নিজের কল্যাণের স্বার্থেই এ সম্পর্ক এগিয়ে যাবে।
রোববার গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনে (বঙ্গোপসাগরীয় সংলাপ) এ কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে প্রণয় ভার্মা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি এ সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের। ভারতের বেশির ভাগ পররাষ্ট্রনীতির মধ্যেই বাংলাদেশ থাকে। নিজের জনগণের স্বার্থে ভারত এ সম্পর্ক স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “সন্ত্রাসবাদের প্রতি বাংলাদেশের জিরো টলারেন্স এবং বিদ্রোহীদের আশ্রয় না দেওয়ার বিষয়টি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত একটি স্থিতিশীল, ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্কের লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে, যেখানে মূল অংশীজন হবে দুই দেশের জনগণ।”
“ভারত বিশ্বাস করে দুই দেশের শাস্তি, নিরাপত্তা, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত”।
নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘হাসিনাকে ফেরত চাইব, ১৫ বছরের অপকর্মের বিচার করব’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কেবল জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডই নয়, গত ১৫ বছরে সব অপকর্মের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এমনকি, শেখ হাসিনাকেও ভারত থেকে ফেরত চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তিতে রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ড. ইউনূস এ কথা জানান।
দেশকে পুনর্গঠন করতে হচ্ছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর আমরা এমন একটি দেশ হাতে পেয়েছি যার সর্বত্র ছিল বিশৃঙ্খলা। স্বৈরশাসন টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছিল”।
“যারা স্বৈরাচারের আক্রোশের শিকার হয়ে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের প্রতিটি হত্যার বিচার আমরা করবই।”
কেবল দেশে নয়, গুম-খুন ও জুলাই-আগস্ট গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েন ড. ইউনূস।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গুলোর কোনো সদস্য কিংবা অন্য কেউ যাতে হত্যা, গুমসহ এ ধরনের কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে এ জন্য গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে স্বাক্ষর করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষেই নির্বাচন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় কিছু অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার কাজ শেষ করেই নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে। এটা আর থামবে না।
রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথাগুলো বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সেইসাথে নির্বাচনি সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে খুব দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপও (রূপরেখা) পাওয়া যাবে। তবে এই সংস্কারের জন্য নির্বাচন কয়েক মাস বিলম্বিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে যাবে। এর পর থেকে নির্বাচন আয়োজন করার সমস্ত দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তাবে। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ আরও কিছু কাজ শুরু করে দিতে পারবে”।,
প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেও সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর।
এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের প্রতিটি মতামত সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই সংস্কার কমিশনগুলো তাদের সুপারিশমালা সরকারের কাছে পেশ করতে পারবে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতেই সংস্কার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হবে।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম, ‘150 corrupt, money launderers identified; investigations begin against 79: Prof Yunus’ অর্থাৎ, ‘১৫০ জন দুর্নীতিবাজ, অর্থ পাচারকারী চিহ্নিত; ৭৯ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু: অধ্যাপক ইউনূস’।
এই প্রতিবেদনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণে সমস্ত সেক্টরে দুর্নীতির যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেই অংশ তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের দায়ে অভিযুক্ত ১৫০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৯ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে তদন্ত চলছে।
শুধুমাত্র বিচার বিভাগকেই নয়, দেশের প্রতিটি সেক্টরকে এর কবল থেকে রক্ষা করার প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পতিত সরকার ও তার দোসররা প্রতিবছর দেশ থেকে ১২ থেকে ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে।
দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছে। পাচার হয়ে যাওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে সম্ভাব্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সরকার এক্ষেত্রে সফল হলে দেশ অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এজন বিদেশি দাতা সংস্থাদের থেকে সহায়তা নেয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
যুগান্তরের প্রথম পাতার খবর শিরোনাম, ‘খেলাপি ঋণ পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে তিন মাসেই ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
সে হিসেবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে যে অর্থ বের করে নেওয়া হয়েছে, তা এখন খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত হতে শুরু করেছে।
ফলে ব্যাংক থেকে বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশই বর্তমানে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
তবে ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, প্রকৃত খেলাপি ঋণের অঙ্ক আরও বেশি। কারণ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হিসাবে অবলোপন করা ও আদালতের আদেশে স্থগিত থাকা ঋণ বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।
এছাড়া বিপুল অঙ্কের ঋণ পুনঃতফশিল করা আছে। সেগুলোও এই হিসাবে নেই।
সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাত সংস্কারে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র আগামী দিনে আরও বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, ‘London to help Dhaka retrieve laundered money’ অর্থাৎ, ‘ঢাকাকে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে সহায়তা করবে লন্ডন’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পাচার হওয়া বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশকে পূর্ণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে এই প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান যুক্তরাজ্যের এ মন্ত্রী।
ব্রিটিশ মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে বিদেশে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার ফেরত আনার জন্য ঢাকার প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যও তার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, দুর্নীতিবাজ-রাজনীতিবিদ এবং আমলারা যে টাকা পাচার করেছে তা ফিরিয়ে আনায় এ সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বলেন, বছরে ১২ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশে পাচার হয়েছে।
বৈঠকে তারা ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা, সংখ্যালঘুদের অধিকার, দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ৪০ মেগাওয়াট জ্বালানি চুক্তি নিয়েও আলোচনা করেন।
আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘ঘুষ ও দুর্নীতিসহ ১৭ বাধা ব্যবসায়’।
প্রতিবেদনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সংলাপের নানা বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
দুর্নীতি থেকে উত্তরণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ডিজিটালাইজেশন করার পাশাপাশি অসৎ ব্যবসার জোট গড়ে ওঠা বন্ধ করা, রাজনীতিতে সংস্কার এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করার কথা জানানো হয়।
‘বাংলাদেশে ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কার: অন্তর্বর্তী সরকারের অ্যাজেন্ডা’ শীর্ষক সংলাপে এক্সিকিউটিভ ওপেনিয়ন সার্ভে (ইওএস) শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, ব্যবসা পরিচালনায় ঘুষের কারবার আরও বেড়েছে। কর-সংক্রান্ত সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয় বলে মনে করেন ৫৭ শতাংশের বেশি ব্যবসায়ী।
যদিও গত বছর পরিচালিত জরিপে এই অভিযোগ ছিল ৪৭ দশমিক আট শতাংশ ব্যবসায়ীর।
জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে। এতে সেবা খাত, শিল্প ও কৃষি খাতের দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা তাঁদের মতামত দেন।
দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় আজ সাবেক মন্ত্রীরা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও দলটির শীর্ষ নেতারা এবং পুলিশের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচারে সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা এবং সাবেক সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ১৪ জনকে।
যাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করার কথা রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, সাবেক মন্ত্রী দিপু মনি, রাশেদ খান মেনন, শাজাহান খান, হাসানুল হক ইনুঅবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
এর আগে গত ২৭শে অক্টোবর এই ১৪ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় আজ তাদের হাজির করা হচ্ছে।
বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘পাহাড়ে গ্যাস অনুসন্ধান দিয়ে শুরু করতে চায় পেট্রোবাংলা’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পার্বত্যাঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জোরালো উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। তাই স্থলভাগের জন্য প্রায় তিন দশক আগে করা উৎপাদন বণ্টন চুক্তি বা প্রডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি) সংশোধনের মাধ্যমে নতুন খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
সেটি চূড়ান্ত করতে ডিসেম্বরের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগ শেষ করতে চায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি। আগামী মার্চের মধ্যে পিএসসি চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মধ্য দিয়ে পেট্রোবাংলা বড় আকারে গ্যাসের অনুসন্ধান চালাতে চায়।
পার্বত্যাঞ্চলে গ্যাস ব্লক ২২বি-তে প্রথম অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
স্থলভাগে বা অনশোর ব্লক ২২বি অঞ্চলটি মূলত পাহাড়ি এলাকা। এর আওতায় রয়েছে বান্দরবানের থানচি, রুমা, আলীকদম ও কক্সবাজারের চকরিয়া।
এছাড়া আনোয়ারা ও কাপ্তাইয়ের কিছু অংশও পড়েছে। এ অঞ্চলে গ্যাস পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা।
বাপেক্সের উদ্যোগেও পাহাড়ে গ্যাস অনুসন্ধান চালানোর চেষ্টা করেছিল বাংলাদেশ। তবে সক্ষমতা না থাকায় সেটি বাস্তবায়ন করা যায়নি।
তাই এ অঞ্চলে গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী তেল-গ্যাস কোম্পানিকে আনা গেলে দ্রুতই সাফল্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘রিসিভার নিয়োগে শিল্প আরো রুগ্ণ’।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দেশে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করা হলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রায় প্রতিটির ক্ষেত্রেই পরিণতি ভালো হয়নি। রিসিভার নিয়োগের পর রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ।
এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের কষ্ট করে দাঁড় করানো ব্যবসায় রিসিভার/প্রশাসক নিয়োগের পর উদ্ভাবন ও বিপণনের ধারাবাহিতা না থাকায় দেখা গেছে, উদ্যোগগুলো ধ্বংসের মুখে পড়েছে।
এতে ঋণ আদায় কিংবা পাওনা পরিশোধ আরো অনিশ্চিত হয়ে গেছে। সম্প্রতি দেশের ১০টি শিল্প গ্রুপে রিসিভার নিয়োগের গুজব ওঠায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শ্রমিক সবাই।
দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া কিছু দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের হেনস্তা করার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের শিল্প খাত ও অর্থনীতি।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সংশ্লিষ্ট খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মুনাফা করলেও করপোরেশনের অধীন থাকা বেশির ভাগ কারখানা তা পারছে না। এমনকি কারখানা বন্ধ থাকলেও বছরের পর বছর লোকসান গুনছে একাধিক করপোরেশন।
ফলে সরকারকে প্রতিবছর বিপুল অঙ্কের লোকসানের দায় নিতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখতে জনগণের করের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই দায় বহনের সুযোগ নেই।
এস/ভি নিউজ