ডেঙ্গু মশা কিভাবে চিনবেন?

চারদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ চলছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে। প্রায় প্রতিদিনই কিছু ডেঙ্গু রোগি মারা যাচ্ছেন। এই রোগটার জন্য দায়ী হলো মশা।

তবে গণহারে সব মশাকে ডেঙ্গুর জন্য দায়ী করলে চলে না। মুলত এডিস মশাই ডেঙ্গুর রোগের জন্য দায়ী ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক। তাই এ মশার কামড়েই ডেঙ্গু হয়।কিন্তু কীভাবে চিনবেন এই মশাকে?

বিশেষ করে এদের দেহের রঙে পার্থক্য আছে। এডিস মশা মাঝারি আকারের। তবে চেনার সবচেয়ে সহজ উপায় এদের গায়ে বিশেষ করে পেটে ও পায়ে সাদা-কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে।এ ধরনের আরেকটি মশাও আছে।

সেটার নাম আর্মিগিয়ার। সেই মশার পেটেও ডোরাকাটা থাকে।
তাহলে এই দুই মশা আলাদা করে শনাক্ত করবেন কীভাবে?

আর্মিগিয়ার মশা আকারে একটু বড়, অন্যদিকে এডিস মশা মাঝারি আকারের। আর্মিগিয়ারের পেটে ডোরাকাটা দাগ থাকলেও পায়ে এ ধরনের দাগ নেই। তাই তাই মশার পেট ও পায়ের দিকে লক্ষ রাখুন।

আবার পুরুষ এডিস মশা রক্ত খায় না। তাই এদের দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার আশংকা নেই। কিন্তু স্ত্রী এডিস মশা ডিম পাড়ার সময় বাড়তি শক্তির জন্য মানুষের রক্ত খায়। তাই স্ত্রী ও পরুষ মশা চেনাও জরুরি।

মশার মুখের যে শুঙ্গ, যেটা দিয়ে রক্ত চুষে খায়, সেটা দেখেই স্ত্রী আর পুরুষের পার্থক্য বোঝা যায়। পুরষের শুঙ্গটি রোমশ। কারণ এরা ফুলের মধু বা লতাপাতার রস খায় এই শুঙ্গের সাহায্যে। তাই সেটা মসৃণ না হলেও চলে। কিন্তু স্ত্রী মশা শুঙ্গটি মানুষের শরীরে বিঁধিয়ে রক্ত টেনে নেয়। তাই সেটা মসৃণ হয়। যদি মশার শুঙ্গ রোমশ না হয়ে মসৃণ হয়, তাহলে ধরে নেবেনে সেটা স্ত্রী মশা এবং সেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর।

ডেঙ্গু মশা রাতে অতটা সক্রিয় থাকে না। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে দিনের মশা থেকে সাবধান। দিনের বেলা মশা দেখলেই ব্যবস্থা নিন। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায় ডেঙ্গু মশা সবচেয়ে সক্রিয় থাকে।এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়তে পছন্দ করে। যেমন ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজের নিচে কিংবা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে বংশবিস্তার করে। এসব পানির দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। পানি জমতে দেবেন না একেবারেই।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরপ্রভাবশালীদের হাতে আটকা ব্যাংকের ৭৬ হাজার কোটি টাকা!
পরবর্তি খবরসহায়ক ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছেন ৭০০ শিক্ষার্থী