‘জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক’

দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘জানুয়ারিতে ফিরতে পারেন তারেক’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রায় ১৭ বছর আগে ক্ষমতার পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এবারের পালাবদলের পর নির্বাসন থেকে তার দেশে ফেরার সুযোগ তৈরি হয়েছে। দলটির একাধিক নেতা বলছেন, আসছে জানুয়ারিতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে।

মূলত সরকারের পতনের পরই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় আসে।

এর মধ্যে ভার্চুয়ালি তিনি বিএনপির সমাবেশগুলোয় যুক্ত হয়েছেন। বর্তমান সরকারকে সমর্থন, তাদের সংস্কার উদ্যোগ ও বিএনপির পরিকল্পনা নিয়েও বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

তবে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে কাঁটা হয়ে আছে বিগত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া মামলাসমূহ।

এর মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছে বিএনপি।

অন্যদিকে, আইনি পথে মামলা মোকাবিলার কথাও বলেছেন বিএনপি নেতা ও আইনজীবীরা, যাতে তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, ‘Dangerous toys abound in Dhaka markets’ অর্থাৎ, ‘ঢাকার বাজারে বিপজ্জনক খেলনা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে যেখানে খেলার মাঠের অভাব সেখানে শিশুরা বিনোদনের জন্য খেলনার ওপর নির্ভরশীল।

অথচ এসব খেলনায় পারদ, সীসা, ব্রোমিন ক্যাডমিয়াম, বেরিয়াম, ক্রোমিয়াম, আর্সেনিক এবং অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

ফিলিপিন্সভিত্তিক সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তথ্য অনুযায়ী শিশুদের খেলনাগুলোর ৮০ শতাংশেই ক্ষতিকর পদার্থ রয়েছে আর এই খেলানাগুলোর বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি করা হয়েছে।

এসব খেলনা শিশুদের শরীরের মারাত্মক ক্ষতি করছে, বিশেষ করে তাদের কিডনিসহ মানসিক বিকাশ ব্যাহত করছে এবং শ্বাসতন্ত্রে ক্ষতি করছে। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে রয়েছে শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুরা।

বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে খেলনা উত্পাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি পর্যবেক্ষণ করা হয় না।

অন্যদিকে বিএসটিআই ২৯৯টি পণ্যের গুণমান পরীক্ষায় কাজ করলেও সেখানে খেলনা এখনও পরীক্ষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘বাজার সামলাতে হিমশিম অবস্থা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার পতনের আগে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম এমনিতেই অনেক বেশি ছিল এবারে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দ্রব্যমূল্য আরও বেড়েছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দাম কমাতে যতটা জোর দেওয়া দরকার ছিল, ততটা গুরুত্ব শুরু থেকে দেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। ইতিমধ্যে দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। ফলে বাজার নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে সরকার।

ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম ও ব্রয়লার মুরগি, চাল ও আটার দাম অনেক বাড়তি। সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। সব মিলিয়ে কষ্টে আছে মানুষ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গতকাল বুধবার ফেসবুকে লিখেছেন, “ট্রাকে থাকা অবস্থায়ই কারওয়ান বাজারে চারবার ডিমের হাতবদল হয়। এখন পর্যন্ত এই সরকার কোনো ‘সিন্ডিকেট’ ভাঙতে পারেনি। শুধু ‘সিন্ডিকেটের’ সাইনবোর্ড পরিবর্তন হয়েছে।”

হাসনাত আবদুল্লাহ প্রশ্ন করেন, “সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে এই অভ্যুত্থানের প্রাথমিক মাহাত্ম্য কী”?

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, সরকার পতনের আন্দোলনে নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ ও শ্রমজীবী মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় বোঝা যায়, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি তাঁদের অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম, ‘বেকারদের থেকেও বিপুল আয়’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিশ্বের অনেক দেশে যেখানে বেকারদের ভাতা দেওয়া হয়, সেখানে এ দেশে বেকারদের পকেটকেই শত কোটি টাকা আয়ের পথ বানিয়েছে রাষ্ট্র।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সরকারি চাকরিতে শুধু আবেদন ফির নামে বেকারদের কাছ থেকে বছরে কয়েক শ কোটি টাকার বেশি আদায় করা হচ্ছে।

প্রতিবছর একজন বেকার ব্যক্তির আবেদন ফি বাবদ বছরে হাজার হাজার জোগাড় করতে গিয়ে অনেক নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের উপোস থাকতে হচ্ছে।

আবার অর্থ জোগাড় করতে না পেরে অনেকে পছন্দের চাকরিতে আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছেন।

শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, দেশে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ। এর মধ্যে তরুণ বেকার ২১ লাখ। উচ্চ শিক্ষিত বেকার আট লাখ। তরুণদের বড় অংশই চাকরির চেষ্টা করছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৫ সালের শেষ দিকে ব্যাংকগুলোতে চাকরির পরীক্ষার আবেদনে ‘ফি’ না নিতে নির্দেশনা জারি করলেও ২০১৯ সালের মার্চ থেকে আবেদন ফি নিয়া শুরু হয়।

সবশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এখন বিসিএস পরীক্ষার জন্য ৭০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হয়।

এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত, আধা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভাগে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত পরীক্ষার ফি রাখা হচ্ছে।

ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Extortions back in Bangladesh’s transport sector’ অর্থাৎ, ‘বাংলাদেশের পরিবহন খাতে ফের চাঁদাবাজি’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুলিশ, পরিবহন কোম্পানির মালিক এবং রাজনৈতিক নেতারা সারা দেশের মতো ঢাকায়ও চাঁদা নেওয়া শুরু করায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশের পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি প্রায় পুরোদমে ফিরে এসেছে।

সরকার পতনের পর, বিএনপি গত ১৪ই অগাস্ট ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে এবং পুলিশ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে টোল নেওয়া শুরু করে।

বিএনপি যুবদলের নেতাকর্মীরা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের এসি ও নন-এসি বাসের মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে বলে জানা গেছে।

দলের নেতাকর্মীদের একাধিক অভিযোগ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানিয়েছেন।

তবে বাস থেকে টোল নেওয়ার সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অবগত নয় ডিএমপি।

ঢাকায় প্রতিটি লেগুনাকে ৪০০ টাকা টোল দিতে হয়। বাস মালিকরা জানান, জিপি বা গেট পাসের নামে ঢাকা সিটির প্রতিটি সার্ভিস ও লং রুটের বাস থেকে কোম্পানিগুলো টাকা নিচ্ছে।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘সড়কে মিলেজুলে অর্ধলক্ষ কোটি টাকা লোপাট’। এ খবরে বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের আমলে রাজনীতিবিদ-ঠিকাদার-আমলা মিলে সড়ক ও জনপথের নির্মাণ প্রকল্প থেকে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লুটে নিয়েছেন।

দুর্নীতি হয়েছে বরাদ্দের ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত। মাত্র ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানই মোট কাজের ৭২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।।

জরিপ করে বুধবার এসব তথ্য তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সড়ক ও সেতু খাতে এক লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

এই অর্থের মধ্যে সার্বিকভাবে দুর্নীতির হার ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ. যা টাকার অঙ্কে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামানের মতে, রাজনীতিবিদ, আমলা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতে একেবারে নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এসব দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, ‘১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের আমলে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভার থেকে ১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের প্রাথমিক তথ্যও পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ইসির এনআইডি সার্ভারে সংরক্ষিত ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্যের মিরর ইমেজ বা কপি তৈরি করে বেআইনিভাবে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস নামক প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা হয় বা তাদেরকে বিক্রির একসেস দেয়া হয়।

পুলিশ বলছে, ১৮২টি দেশী-বিদেশী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়েছিল এসব তথ্য।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রহমান জানান, ২০২২ সালের চৌঠা অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের এনআইডি বিভাগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ইসির এনআইডি তথ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দিতে পারবে না।

সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে এনআইডির তথ্য অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করে।

এ ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি এক মামলার পর ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এ মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর বাইরে আরো ১৫ থেকে ২০ জন আসামি

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘অর্থনীতির সূচকে লুকোচুরি’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের আমলে অর্থনীতির সূচকগুলোর প্রকৃত অবস্থা লুকিয়ে কৃত্রিমভাবে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর কারণে অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা বাইরে থেকে বোঝা যায়নি।

সরকারের শেষ সময়ে অর্থনীতির সূচকগুলোর সার্বিক অবস্থা আরও খারাপ ছিল, তবে তারা কারসাজির মাধ্যমে প্রকৃত চিত্র আড়াল করে রাখে।

লুকোচুরির সূচকে অর্থনীতির অবস্থা সবল দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যবস্থাপনায় এখন প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসছে।

বর্তমানে টাকা ছাপানো বন্ধ, টাকা পাচার এবং ব্যাংক খাতে লুটপাট না হলেও অর্থনীতির স্থবিরতা কাটেনি। শিল্প ও বিনিয়োগেও স্থবিরতা বিরাজমান।

বিদায়ি সরকারের সময়ে কৃত্রিমভাবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে রাখা হচ্ছিল। খেলাপি হওয়ার যোগ্য এমন ঋণকেও খেলাপি না করে নিয়মিত দেখিয়েছে।

ব্যাংক খাতে বড় ধরনের লুটপাটের কারণেই এখন খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এতে ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট প্রকট হয়েছে।

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে। দুর্বল হয়েছে ব্যাংক। যে কারণে অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী ঋণের জোগান দিতে পারছে না।

রপ্তানি আয় ছিল নিম্নমুখী। ডলারের দাম বেড়েছে বেপরোয়া গতিতে। ২০০৯ সালে ডল্লারের দাম ছিল ৬৯ টাকা। এখন সর্বোচ্চ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরেই বেচাকেনা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিগত সরকারের নেয়া মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী, রামপাল ও পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি ও নির্মাণ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও তা পর্যালোচনার আওতায় আনছে না অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি।

ফলে দুই লাখ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে এ চার প্রকল্পের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে যেসব অভিযোগ রয়েছে, তা অগোচরেই রয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতাগ্রহণের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০-এর অধীনে হওয়া চুক্তিগুলো খতিয়ে দেখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

তবে ওই মেগা প্রকল্পগুলো বিশেষ আইনের আওতাধীন না হওয়ায় চুক্তি পর্যালোচনা কমিটি এগুলো নিয়ে ভাবছে না বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

দরপত্র ছাড়া চুক্তি করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) নামে আইনটি করেছিল বিগত সরকার। এর আওতায় বিদ্যুতের মেগা প্রকল্পগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়।

ফলে এ প্রকল্পগুলোর বিষয়ে যে ধরনের অস্বচ্ছতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সেগুলোকে পরিষ্কার করা দরকার।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরটানা চারদিনের ছুটি শুরু
পরবর্তি খবরআঘাত হেনেছে চরম বিপজ্জনক হ্যারিকেন মিল্টন, চলছে ব্যাপক তাণ্ডব