জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোপাসের দাবিতে ডিগ্রি পরীক্ষার্থীদের উপাচার্যের অফিস ঘেরাও

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২০১৯-২০ পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাসের দাবিতে উপাচার্য এস এম আমান উল্লাহর অফিস ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর ১টায় প্রথমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে উপাচার্যের অফিস ঘেরাও করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন। তাদের সঙ্গে অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে এবং ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ডিগ্রি কোর্স সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ফাইনাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ এখনো শেষ হয়নি।

তারা আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই নিয়মিত, অনিয়মিত, প্রাইভেট ও সার্টিফিকেট কোর্সের এবং নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জীবিকার তাগিদে পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই কর্ম করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক সময় চাকরিও ছেড়ে দিতে হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া, বন্যায় অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে অবিলম্বে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের সঙ্গে তৃতীয় বর্ষের সব সেশনের ফাইনাল শিক্ষার্থীদের দ্রুত অটোপাস দিয়ে ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ জানান তারা।

তবে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচলে কোনো সমস্যা হয়নি বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান গাজীপুরের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক আল আমীন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিগ্রিতে অটোপাসের এক দফা দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।’

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শাখার দায়িত্বে যিনি আছেন তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি শাখার কর্মকর্তা এরশাদ মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘উপাচার্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আমাদের দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি আমাদের বলেছেন, অটোপাসের বিষয়টি তার হাতে নেই। এটা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা সচিবের সিদ্ধান্তের বিষয়।’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, ‘ডিগ্রিতে আড়াই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছেন। তাদের অটোপাসের দাবি দীর্ঘদিনের। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য শিক্ষা সচিবের সঙ্গে কথা বলেছেন। শিক্ষা সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অটোপাসের বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন। কারণ এটা করলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হবে এবং অন্যরাও এমন দাবি করতে পারে।’

ইতোমধ্যে গতকাল পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা নিয়ে রেজাল্ট দিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবর‘সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি স্বর্ণের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না’
পরবর্তি খবর৮ বছরে মাথাপিছু বিদেশি ঋণ দ্বিগুণের বেশি