জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

আশরাফুল আবেদীন; পাবনা প্রতিনিধি

জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে পাবনার ঈশ্বরদী শহরের নূর মহল্লা এলাকায় ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ একটি বসতবাড়ি, ইটের তৈরি সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় প্রতিপক্ষের হামলাকারীরা বাড়ির আঙিনার গাছপালা কেটে ফেলে ও লৌহজাত সামগ্রীসহ পাঁচ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা আতংকে মধ্যে রয়েছেন বলে জানান।

জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা জানাতে গতকাল ১১ অক্টোবর শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক নাজমুন নাহার।

ঘটনাটি সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, একই এলাকার মৃত ওহাব মল্লিকের পরিবারের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিন জমিজমা সংক্রান্ত একটি মামলা চলমান ছিল। এই জমির পরিমাণ সাড়ে ৩ শতাংশ। পাবনার বিজ্ঞ আদালত ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার নালিশি সম্পত্তির খন্ডিত রায় দেন। ওই রায়ে বলা হয়, ওই জমি এস এ রেকর্ড থেকে আর এস রেকর্ডে ১৫ জন পক্ষ হয়েছে। এ অবস্থায় বাদী ও বিবাদী দুইজনের মধ্যে মিমাংসা করলে অন্য পক্ষ ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এবং অংকিত নকশা ভ্রমাত্বক বলে আংশিক রায় ঘোষণা করেন আদালত। যা কারো পক্ষে যায় না।

লিখিত বক্তব্যে নাজমুন নাহার বলেন, রায়ের পরদিন ৪ অক্টোবর ওহাব মল্লিকের ছেলে আশিউর রহমান মল্লিক মিন্টু ও তার ভাইয়েরা গুন্ডা বাহিনী নিয়ে বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে তাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে এবং সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০ ফুট লম্বা বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। নিষেধ করলে আশিকুর মল্লিক মিন্টুসহ অন্য হামলাকারীরা তাদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেয়। একপর্যায়ে আমার ভাই নজরুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার হেমার দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাতের চেষ্টা করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাদের বাড়ির বেশ কিছু গাছপালা কেটে ফেলেছে এবং পুরাতন বরফ কলের লৌহজাত দ্রব্যসহ ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে চলে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে নাজমুন নাহারের পাশে ছিলেন তার ভাই নজরুল ইসলাম, সাহেদুল হক. তৌহিদুল ইসলাম ও কৌশিক রহমান।

এ সময় নজরুল ইসলাম জানান, হামলার পর থেকে তারা আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। যেকোনো সময় তাদের উপর হামলা ও সম্পদ দখল করে নিতে পারেন প্রতিপক্ষরা। নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যা সত্য নয়। তিনি বলেন, বিষয়গুলো তার পরিবারের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তারপরও তাদের পক্ষ থেকে হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরসাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েও নেতাকর্মী নিয়ন্ত্রণে ‘হিমশিম’ খাচ্ছে বিএনপি
পরবর্তি খবর২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে নয়জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১৫