গোয়েন্দা নজরে নতুন ডিসিরা— কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, ক্রমশঃ জটিল হচ্ছে ডিসি নিয়োগ বিতর্ক।
এ নিয়োগের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের প্রশ্ন এখন সামনে এসেছে। কারণ এরই মধ্যে এক কর্মকর্তার কক্ষ থেকে তিন কোটি টাকার ক্যাশ চেকসহ চিরকুট পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে একের পর এক ঘটনার জন্ম হওয়ার প্রেক্ষাপটে সারা দেশের নতুন ডিসিরা এখন গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন।
খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নতুন ডিসিরা ক্ষমতা হারানো হাসিনা সরকারের ‘সুবিধাভোগী’ কী-না, আগের সরকারের মন্ত্রী-সচিবদের এপিএস, পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন কী-না, ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের বদলি-পদায়নসহ সব তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে।
সেইসাথে, গত ছয় মাস প্রশাসনের কোথায় ছিলেন, কাদের সঙ্গে চলাফেরা ও উঠাবসা করেছেন এবং গণঅভ্যুত্থানে তাদের ভূমিকা কী ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবরে উঠে এসেছে।
ড. ইউনূসের সরকারকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের— সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি।
এখানে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বিগত সরকারের আমলে সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা জো বাইডেনকে জানান।
অধ্যাপক ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তার সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে।
এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেকোনো দরকারে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তাহলে তাদেরও (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিৎ।
আজ এই খবরটি কেবল সমকাল নয়, দেশের প্রায় সকল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম হিসেবে উঠে এসেছে।
রাজনীতি ঠিক না হলে ব্যাংক সংস্কার টেকসই হবে না— দৈনিক প্রথম আলো’র প্রধান শিরোনাম এটি।
এখানে মঙ্গলবার প্রথম আলো আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতকে কোথায় দেখতে চাই’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বক্তব্যকে তুলে ধরা হয়েছে।
গভর্নর বলেছেন, “অর্থনীতি খারাপ হয়ে পড়লে সরকারের পতন হয়। বাংলাদেশেও তা–ই হয়েছে। অর্থনৈতিক নিষ্পেষণ, দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণের কারণে সরকারের পতন হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে কিছু ভালো ব্যাংক দুর্বল হয়েছে।”
“এক পরিবারের কাছেআট-নয়টি ব্যাংক তুলে দেওয়া হয়েছে। চার-পাঁচটি পরিবার ব্যাংক থেকে দুই লাখ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। বিস্ফোরণোন্মুখ এই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
টাকা ছাপানো বন্ধ, সঙ্গে বন্ধ রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিও। এই নীতি স্থিতিশীল হলে মূল্যস্ফীতি কমতে বাধ্য। এতে সবাই স্বস্তিতে থাকবে।”
“ব্যাংক খাত সংস্কারে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে রাজনীতি ঠিক না হলে ব্যাংক খাতের সংস্কারগুলো টেকসই হবে না।
সুতরাং, সংস্কার উদ্যোগ টেকসই করতে হলে রাজনীতিতেও সংস্কার আনতে হবে,” যোগ করেন তিনি।
৭৭ জন বেড়ে শহীদের তালিকায় ৭০৮ জন— আজকের পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জনের পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে নয়ই সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তালিকায় নিহতের সংখ্যা ৬৩১ বলা হয়েছিল। সেই হিসাবে হালনাগাদে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে ৭৭ জন।
গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য সংশোধন/ বা সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ছয়ই অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে।
RMG owners accept most demands of workers বা শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন কারখানা মালিকরা— ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।
এখানে বলা হয়েছে, টানা বিক্ষোভ কর্মসূচির পর গতকাল মঙ্গলবার হাজিরা বোনাস এবং টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা, বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং বিদ্যমান নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ শ্রমিকদের প্রায় সব দাবি পূরণে রাজি হয়েছেন কারখানা মালিকরা।
বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবির ভিত্তিতে শ্রম মন্ত্রণালয়, কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতারা ১৮ দফা দাবি তৈরি করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, শ্রমিকদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এখন সবাইকে কাজে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ফ্যাসিবাদী কাঠামো তৈরিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন ঢাবি শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বেশির ভাগ মন্ত্রীই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের কর্তৃত্ববাদী কাঠামো তৈরি ও তা দৃঢ় করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা রাজনীতিবিদ-আমলা ও বিচারকদেরও বড় একটি অংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের কেউ কেউ এখানে শিক্ষকতাও করেছেন।
এছাড়া, শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থাকে ফ্যাসিবাদে রূপান্তরে দেশের ব্যবসায়ীদেরও বড় ভূমিকা ছিল।
সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অলিগার্ক হিসেবে বেড়ে ওঠা ব্যবসায়ীদের বড় অংশও ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
সংস্কার সম্পন্ন করে দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচন— যুগান্তর পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি।
গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে ১৮ মাস বা দেড় বছরের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে যে কোনো পরিস্থিতিতে পূর্ণ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
তার নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না বলেও তিনি জানান।
তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়েও কথা বলেন। সেক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীনে নেওয়া যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানিয়েছেন, “যা-ই ঘটুক না কেন, আমি তার (মুহাম্মদ ইউনূস) পাশে থাকব। যাতে তিনি তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেন।”
সেনাপ্রধানের বক্তব্য ইতিবাচক তবে অঙ্ক জটিল— মানবজমিন পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সাক্ষাৎকারটি গতকাল ছিল ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’।
শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর নির্বাচনের একটি সময়সীমা প্রকাশের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে দাবি উঠে।
তবে নির্বাচনের সময়সীমার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সেনাপ্রধানই প্রথম এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।
তবে নির্বাচনের সময়সীমার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সেনাপ্রধানই প্রথম এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট ইঙ্গিত দিলেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার এখনও পুরোদমে সংস্কার কাজ শুরু করতে পারেনি। এরইমধ্যে একের পর এক চ্যালেঞ্জ আসছে।
দৃশ্যত সংস্কারের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনও দ্ব্যর্থহীন নয়। সরকার এখনও দুর্বল এবং এলোমেলো। সমন্বয় নেই নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। প্রশাসনে এখনও গতি আসেনি।
অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মনে করেন সব দলকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠিত হলে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে। কারণ জনসম্পৃক্ততা না থাকলে কোনও সরকারই সফল হয় না।
নির্বিচার মামলায় অবিচারের শঙ্কা— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হতাহতের ঘটনায় যেসব ঢালাও মামলা হচ্ছে, তাতে নির্বিচারে আসামি করা হচ্ছে বাছবিচার ছাড়াই।
এরই মধ্যে কয়েকটি চক্র মেতেছে মামলাবাণিজ্যে। তাদের লক্ষ্যই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্ণধাররা।
মামলায় আসামি না করার জন্য তাদের কাছে দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দাবি করা টাকা না দিলেই দেওয়া হচ্ছে একের পর এক মামলা। শুধু ব্যবসায়ীই নন, বাদ যাচ্ছেন না শিক্ষক, সাংবাদিক ও তারকারাও।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল ও পূর্বশত্রুতার জেরে মামলার আসামি করারও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
অনেক ক্ষেত্রে মামলার বাদী চেনেন না আসামিকে আর আসামি চেনেন না বাদীকে। এমনকি ঢাকার ঘটনার মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকার বাইরের জেলার শত শত মানুষকে।
এ ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ মামলা প্রকৃত ভুক্তভোগীদের সঠিক বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের বাইরে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়া করছে না বিএনপি— এটি নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে তাড়াহুড়ো করছে না বিএনপি।
তবে দলটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের তরফ থেকে দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ আশা করছে।
দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে।এই সরকার জনগণের সরকার।
তাদের নেয়া সংস্কার উদ্যোগেও জনগণের সম্মতি রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
তবে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সংসদ প্রতিষ্ঠাই এই সরকারের সব সংস্কারকার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিৎ।
এস/ভি নিউজ