বকেয়া বেতনের দাবিতে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করায় দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকার টিঅ্যান্ডজেড গ্রুপের এপিএল অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এই বিক্ষোভ করছেন বলে জানিয়েছেন গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম।
ভোগড়া এলাকায় তাদের অবরোধের কারণে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয়দিকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া গাজীপুরের ভোগড়া থেকে টাঙ্গাইলের দিকে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে পোড়াবাড়ি পর্যন্ত সাত কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারীরা।
শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এপিএল অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা গত মাসের শুরুতে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করে। কিন্তু মালিকপক্ষ বেতন দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ৩০ সেপ্টেম্বর বেতন পরিশোধ করার কথা জানায়।
এরপর শ্রমিকরা আর কোনো আন্দোলন বা বিক্ষোভ করেনি। পূর্বনির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার বিকালে শ্রমিকরা বেতন চাইলে কর্তৃপক্ষ দেয়নি। পরে রাতেই শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে।
রাত ৯টার দিকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায় এবং সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা ফের বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ভোগড়া মোড়ে মহাসড়ক অবরোধ করে।
অপরদিকে মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকার এম এম নীটওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা টিফিন বিল, নাইট বিল এবং হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার দুপুরে বিক্ষোভ শুরু করে।
কোনো সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা ফের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
এর আগে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তিন মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।
সোমবার রাত ১০টা থেকে চৌরাস্তা এলাকায় এ বিক্ষোভ শুরু করলে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৯ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, তিন মাস আগে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ডিলাস ফ্যাশন লিমিটেডের মালিক নোটিশ দিয়ে কারখানা বন্ধ করে চলে যায়। তিন মাসের বকেয়া বেতন না দেওয়ায় সোমবার এই কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলন করেন।
পরে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, “শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলো সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
এস/ভি নিউজ