‘‘ক্রসফায়ারের’ মামলায় ফাঁসছেন ম্যাজিস্ট্রেটও’

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ক্রসফায়ারের’ মামলায় ফাঁসছেন ম্যাজিস্ট্রেটও’।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে পুলিশ-র‍্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় নতুন করে মামলা করা হচ্ছে।

এসব ‘ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা তদন্ত করে গুলিবর্ষণকে যথার্থ বলে প্রতিবেদন দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হচ্ছে।

বিগত আমলে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের একটা অংশ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথিত এসব বন্দুকযুদ্ধকে সব সময়ই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে মামলা দায়েরে সহযোগিতা করছে বিএনপির একটি তদন্ত সেল। এই সেলের প্রধান করা হয়েছে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তাকে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়, কথিত বন্দুকযুদ্ধের প্রতিটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা মামলা করেছে। এগুলোর এজাহারের বর্ণনা গড়পড়তা একই।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত পাঁচই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই ঘটনায় নতুন করে হত্যা মামলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ছয়টি মামলা করা হয়েছে।

‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া ঠিক করছে ভারত’ শিরোনামে প্রথম পাতায় খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক নয়াদিগন্ত।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ আবার কীভাবে ফিরে আসতে পারে তা নিয়ে পরিকল্পনা শুরু করেছে প্রতিবেশি দেশ ভারত।

ইতোমধ্যে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে বলে এ খবরে দাবি করা হয়েছে।

এতে ভারতের বাংলাদেশ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক, বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা অংশ নেন বলে জানানো হয় খবরে।

বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, ‘বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় প্রকল্প ও রি-সেটেল আওয়ামী লীগ’ (আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন)। বৈঠকে বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় প্রকল্পগুলোর সঠিক ও বাধাহীন বাস্তবায়নের ওপর ব্যাপক জোর দিতে বলা হয়।

পাশাপাশি ভারতের সাথে শেখ হাসিনা সরকারের মধ্যকার হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো (এমওইউ) পুনর্বিবেচনা করা হলেও সম্পাদিত চুক্তিগুলো থেকে বর্তমান সরকার যেন সরে না যায় সেটি নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়।

২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের ‘মিনিটস অব দ্য মিটিং’ এর ভিত্তিতে এ নিয়ে খবর প্রকাশ করে জার্মানির বন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এশিয়ার।

‘ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন এস আলম’ শিরোনামে প্রথম পৃষ্ঠায় খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো।

প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেসরকারি খাতে পরিচালিথ ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ১৮ হাজার কোটি টাকা এস আলম গ্রুপ একাই নিয়েছে। যা ব্যাংকিটর মোট ঋণের ৬৪ শতাংশ।

আর এসব ঋণ নেওয়া হয়েছে কাল্পনিক লেনদেনের মাধ্যমে, যার জামানতও নেই। এসব বিষয় উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শনে।

খবরে বলা হয়েছে, ব্যাংকটি মোট ঋণের ৪২ শতাংশ খেলাপি হয়ে পড়েছে বলে ব্যাংকটির অভ্যন্তরীণ নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তারা জানিয়েছে খেলাপি ঋণ ৪ শতাংশের কম।

খবরে বলা হয়েছে, নানা অনিয়মের কারণে আর্থিক বিপর্যয়ে পড়া এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদ এক মাস আগে পুর্নগঠন করে এস আলমমুক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক। তারপরও ব্যাংকটিতে এস আলমের প্রভাব কমেনি। যে কারণে পরিচালকরা প্রকৃত চিত্র জানতে পারছে।

একই সাথে ব্যাংকটির স্বয়ংক্রিয় তথ্যভান্ডার থেকে এসআলমসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও লেনদেনের তথ্য সরিয়ে ফেলেছে বলেও এই খবরে বলা হয়ছে।

ইউনিটপ্রতি সৌরবিদ্যুতের ক্রয়মূল্য নিয়ে দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম ভারত-পাকিস্তানে সাড়ে ৩ থেকে ৪ টাকা, বাংলাদেশে প্রায় ১১ টাকা। এ খবরে বলা হয়েছে, ভারতে দুই হাজার মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয় গত বছরের মার্চে।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সোলার এনার্জি করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার আহ্বান করা দরপত্রে অংশ নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পায় ছয় কোম্পানি।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের দাম অনুমোদন হয় তিন সেন্টে, যা ভারতীয় মুদ্রায় দুই রুপি ৬০ পয়সা।

ডলারের বিনিময় হার ১১৯ টাকা ৪৮ পয়সা হিসাবে ওই বিদ্যুতের ট্যারিফ বাংলাদেশী মুদ্রায় দাঁড়ায় তিন টাকা ৫৮ পয়সা।

এদিকে, পাকিস্তানে সম্প্রতি অনুমোদিত বেশ কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ট্যারিফ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫০০ থেকে আড়াই হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সঙ্গে ক্রয়চুক্তি হয়েছে সর্বোচ্চ সাত সেন্ট থেকে সর্বনিম্ন সাড়ে তিন সেন্টের কিছু বেশিতে।

ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার হিসাবে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের সর্বনিম্ন দাম পড়েছে ৩ টাকা ৮২ পয়সা।

তবে, বাংলাদেশে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয়ে চুক্তি হচ্ছে নয় থেকে ১০ সেন্টে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর সর্বনিম্ন দাম পড়ছে ১০ টাকা ৭৫ পয়সা।

তবে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি ভিন্ন হওয়ায় দামে কিছুটা তারতম্য দেখা যায়, যা কিলোওয়াটপ্রতি সর্বনিম্ন ১০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩ টাকাও পড়ছে।

‘সংস্কার পরীক্ষা ডিঙানোর চ্যালেঞ্জে সরকার’ এই শিরোনামে প্রধান খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক সমকাল।

পত্রিকাটির খবরে বলা হয়, সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে যে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রয়োজন, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকেই। মোদ্দা কথা, ‘সংস্কার পরীক্ষায় পাস’ করতে হবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

তবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার করতে না পারলে বিশ্বের এ সমর্থন তেমন একটা ফল বয়ে আনবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি ড. ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানসহ একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা সবাই এক বাক্যে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার চান। এজন্য ড. ইউনূসকে যে কোনো সহায়তা দিতেও তারা প্রস্তুত।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকার বিভিন্ন খাতে কাঠামোগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের বিষয়টি চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) মোটামুটি সবাই বাংলাদেশ ও ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রতি সমর্থনের বার্তা দিয়েছে।

ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা যাতে কেউ নিজের দখলে না নিতে পারে সেজন্য রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। আর এসব সংস্কারের জন্য বহির্বিশ্বের সমর্থন প্রয়োজন।

তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি অভ্যন্তরীণভাবে সব পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতে কঙ্ক্ষিত সংস্কার করার বিষয়ের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয়েছে প্রকাশিত এই সংবাদে।

‘আন্দোলনে নিহত ১৫৮১, আহত ৩১ হাজারের বেশি’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক ইত্তেফাক।

প্রকাশিক খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এখন পর্যন্ত নিহত ১ হাজার ৫৮১জনের তালিকা সংগ্রহ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপকমিটি।

এছাড়া আহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি। নিহতদের বেশিরভাগ তরুণ ও দারিদ্র পরিবারের।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য উপ কমিটি।

তারা বলেছে, এই তালিকা প্রাথমিক তথ্য। পরবর্তীতে এই তালিকা আরো বর্ধিত করা হবে বলেও জানায় এই কমিটি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, এই তালিকা তৈরি করতে সহয়তা করেছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, রেড জুলাইসহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি সংস্থা।

এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যক্তিরাও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছে এই কমিটিকে।

এই তালিকার তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য প্রতিটি জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই কমিটি তথ্য যাচাই বাছাই করার পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে।

‘পাঠ্যপুস্তক সংশোধন পরিমার্জনের কমিটি বাতিল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেছে দৈনিক দেশ রুপান্তর।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত সমন্বয় কমিটি বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

গতকাল শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রকাশিত খবর বলছে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. খম কবিরুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ইয়ানুর রহমানকে সদস্যসচিব করে সমন্বয় কমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ হত্যার খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো পত্রিকা।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর ‘Israel kills Hezbollah chief’ অর্থাৎ ইসরায়েল হেজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যা করেছে।

এই খবরে বলা হয়েছে, বৈরুতে একটি শক্তিশালী বিমান হামলায় ইসরায়েল হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। এর মাধ্যমে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীকে একটি বিশাল ধাক্কা দিয়েছে।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে যে তারা শুক্রবার বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে গ্রুপের কেন্দ্রীয় কমান্ড সদর দফতরে হামলা চালিয়ে নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেটি বললেও হেজবুল্লাহ প্রধানকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত না করে হেজবুল্লাহ।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেজবুল্লাহ প্রধানের মৃত্যু শুধুমাত্র হিজবুল্লাহর জন্যই নয়, ইরানের জন্যও একটি বড় ধাক্কা।

ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন সিনিয়র সদস্য, ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীল ফরৌশানও বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে বলে ইরানি গণমাধ্যম শনিবার জানিয়েছে।

রয়টার্সের একটি লাইভ সম্প্রচারে দেখা গেছে শনিবার ভোরে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে হামলা অব্যহত ছিল।

নিউ এইজের প্রথম পাতার খবর ‘Thousands asked to move to safety’ অর্থাৎ হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের পর শুক্রবার রাতে গাজলডোবা ব্যারেজে ভারত বন্যার গেট খুলে দেওয়ার পর তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে থাকা চরগুলোর কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

ভারতের উজানে তিস্তা ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় বন্যা সৃষ্টি করছে।

পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম জুড়ে অবিরাম খুব ভারী বৃষ্টির মধ্যে, শনিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৭০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পূর্বাভাস অনুসারে নেপাল এবং ভারতে খুব ভারী বৃষ্টিপাত আজও অব্যহত থাকতে পারে। যে ভয়াবহ বন্যায় রুপ নিতে পারে বলেও পুর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

এস/ভি নিউজ

পূর্বের খবরজাতিসংঘে দেয়া প্রধান উপদেষ্টার পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
পরবর্তি খবরঅবিরাম বৃষ্টিতে নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস, নিহত অন্তত ১১২