অতিরিক্ত ওজন কমানো কঠিন। আর সেটা বেশিরভাগ সময় নির্ভর করে খাদ্যাভ্যাসের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেসটিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজ’ অনুযায়ী, আমেরিকার তিনজনের মধ্যে দুইজনের ওজন বেশি বা স্থূলকায়।
রাতারাতি ওজন কমানো সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা।
এটি কমানোর প্রথম পন্থা হল, দেহের প্রয়োজনের তুলনায় কম ক্যালরি গ্রহণ করা এবং এটা বেশ কঠিন একটা ধাপ।
তাই ক্যালরি গণনা করতে ‘ফুড ডায়েরি’ অনুসরণ করা যেতে পারে।
ফুড ডায়েরির উপকারিতা
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইউনিভার্সিটি অফ পিটসবার্গ’য়ের করা ক্লিনিক্যাল গবেষণায় দেখা গেছে, ‘ফুড ডায়েরি’ মস্তিষ্ককে মনোযোগ দিয়ে খাবার খেতে এবং ওজন কমাতে কম ক্যালরি গ্রহণে সংকেত দেয়।
সমস্যা হচ্ছে খাবার নিয়ন্ত্রণের এই প্রচেষ্টা কয়েকদিনের মধ্যেই অনেকটাই কমে আসে। অথবা অনেকেই চেষ্টাই করে না।
তবে বর্তমানে নানান অ্যাপের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসকে তালিকাভুক্ত করে রাখা যায়। ফলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই লিপিবদ্ধ হয়ে থাকে।
ডিজিটাল ফুড লগ ব্যবহার
‘ইউনিভার্সিটি অব ভার্মোন্ট’য়ের গবেষকদের মতে, ‘ডিজিটাল ফুড ব্লক’- ব্যবহারকারীদের খাবার ট্র্যাক করতে আরও বেশি আগ্রহী।
গড়ে ৪৮ বছর বয়স্ক (অধিকাংশ নারী) ১৪২ জন অংশগ্রহণকারীদের ওপর করা এক পর্যবেক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হয় ‘ওবেসিটি’ সাময়িকীতে।
সেখানে তাদের ২৪ সপ্তাহের প্রতিদিনের খাবার নিজে পর্যবেক্ষণ করে ওয়েবসাইটে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয়। এর ফলে তারা নিজের ক্যালরি গ্রহণ সম্পর্কে আরও সতর্ক হন।
ছয় মাস পরে গবেষকরা দেখেন যে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে খুব কম সংখ্যকই এভাবে নিজেদের পর্যবেক্ষণে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
যারা পাঁচ থেকে দশ শতাংশ বা তার বেশি ওজন কমিয়ে ছিলেন তারা দিনে বেশিরভাগ সময় ‘ফুড লগিং’য়ে ব্যয় করছিলেন।
প্রথম মাসে এর সময় সীমা ১৪.৬ হলেও পরে তা ২৩ মিনিট পর্যন্ত হয়েছিল।
পরামর্শ
গবেষকদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে ‘সেল্ফ মনিটরিং’ জরুরি। এর ফলে নিজের সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়। আর ক্যালরির হিসাব রাখা সহজ হয়।
Worse Than Myspace Ever Was Josh Hawley Slams Facebook
Facebook Secretly Tracks Your iPhone. Here’s How To Stop It
আরও পড়ুনঃ