কলকাতায় কন্টেনমেন্ট এলাকায় সংক্রমণ রোধে নজরদারির কাজ যাতে নির্দেশিকা মেনে হয় তা নিশ্চিত করবেন কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যবেক্ষকেরা।
‘কোভিড-১৯’ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ১৮টি দলকে ১০টি রাজ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশের একাধিক জেলায় এবং তামিলনাড়ু, তেলঙ্গনা ও পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় যাওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধু কলকাতাতেই কন্টেনমেন্ট এলাকার হাল-হকিকত পরখ করবেন ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথে’র দুই বিশেষজ্ঞ সদস্য চিকিৎসক লীনা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং চিকিৎসক অপরাজিতা দাশগুপ্ত। আগে অপরাজিতার জায়গায় তালিকায় ছিল চিকিৎসক মধুমিতা দোবের নাম।
এআইআইএইচপিএইচ সূত্রের খবর, দু’সপ্তাহ আগে থেকে এ রাজ্যে হটস্পট এলাকায় স্বাধীন ভাবে কাজ করছিল ‘অল ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথে’র জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এপিডেমিয়োলজিক্যাল সমীক্ষায় কী ধরনের করোনা কেস হচ্ছে, সংক্রমণের গতিবিধি কেমন, সে বিষয়ে কাজ চলছিল। কলকাতার কন্টেনমেন্ট এলাকায় নজরদারিতে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে খবর।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীন রিজিওনাল ডিরেক্টরের কার্যালয়ে একটি বৈঠক করেন এ রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ সদস্য-চিকিৎসকেরা। এর পর স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ শুরু করবেন বিশেষজ্ঞরা। এ দিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘যেখানে করোনা সংক্রমণের বেশি ঘটনা হচ্ছে, সেখানে কেন্দ্র ও রাজ্যের উভয়ের লক্ষ্য হল, কী ভাবে সেই সংক্রমণকে বেঁধে রাখা যায়।’’