কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মেহবুবা মুফতি

প্রায় এক দশক পর বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে। তবে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতি।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু।

বুধবার তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী হলে মানুষের প্রত্যাশা ও দলের প্রতিশ্রুতি তিনি রক্ষা করতে পারবেন না।  বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো ক্ষমতাই থাকবে না।

শুরুর দিকে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেহবুবা মুফতি। একইসঙ্গে এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে পিডিপি প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হবে।

বুধবার শ্রীনগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে মেহবুবা বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক বদলে গেছে। বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আমি ২০১৬ সালে ১২ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর বাতিল করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরোধী জারি করেছিলাম। এখন মুখ্যমন্ত্রী হলে কি এসব করতে পারব? পারব না। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কী লাভ?’

জানা গেছে, মেহবুবা মুফতি ভোটে না দাঁড়ালেও তার দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না।  তার মেয়ে ইলতিজা মুফতি বিজবেহরা কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আগামী সেপ্টেম্বরের ১৮, ২৫ এবং অক্টোবরের ১ তারিখ মোট তিন দফায় ভোট হওয়ার কথা রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০১৪ সালে যখন শেষবার সেখানে বিধানসভা ভোট হয়েছিল, মেহবুবার দল তখন জোট বেঁধেছিল বিজেপির সঙ্গে। তার বাবা প্রয়াত মুফতি মুহাম্মদ সাইদ তখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ২০১৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রী হন মেহবুবা। ২০১৮ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি।

এদিকে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা পাল্টেছেন। গান্দারবাল কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। আবদুল্লাহর দাবি, ভোটে না দাঁড়ানোর সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৯ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে।  ফলে এই রাজ্যটি দিল্লির কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে।

পূর্বের খবরনিয়োগের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পিপি পদে না থাকার ঘোষণা সমাজীর
পরবর্তি খবরড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা সম্পর্কিত শুনানির দিন পেছাল