মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ‘পূর্ণ সমর্থন’ দিচ্ছে।
সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, প্রতিক্রিয়ার ধরন কেমন হতে পারে। জবাবে বাইডেন বলেন, ‘সেটা নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।’
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, প্রথম বারের মতো হাইপারসনিক অস্ত্রসহ মোট ২০০ ব্যালিসটিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহারে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইরানের বিপ্লবী রক্ষী দল (আইআরজিসি) বলেছে, তারা তেল আবিবের তিনটি সামরিক ঘাঁটি ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুর ওপর এই হামলা চালিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক মাধ্যম এক্সে জানান, ‘তেহরানের এই উদ্যোগ সমাপ্ত হয়েছে, যদি না ইসরায়েলি শাসকরা আরও পাল্টা জবাবে দেওয়ার কারণ সৃষ্টি না করেন।’
আইআরজিসি এর আগে জানিয়েছিল, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে ও আইআরজিসির কমান্ডার আব্বাসকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। একইসঙ্গে লেবানন ও গাজার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেও এ ঘটনাকে অভিহিত করেছে ইরানের এই অভিজাত বাহিনী।
ভয়াবহ পরিণতি
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ইরানের এই পদক্ষেপকে ‘নিন্দনীয় আগ্রাসী আচরণ’ বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে, বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সালিভান সাংবাদিকদের বলেন, এই হামলার জেরে ‘ভয়ানক পরিণতি’ বরণ করতে হবে ইরানকে।
নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘ইরান আজ রাতে বড় একটি ভুল করেছে এবং সে জন্য তাদেরকে মূল্য চুকাতে হবে।’
জবাবে ইরান বলেছে, তাদের ভূখণ্ডে কোনো হামলা আসলে ‘আরও বড় আকারে’ পাল্টা হামলা চালানো হবে।
মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাঘেরি হুশিয়ারি দেন, তেহরান ইসরায়েলের ‘সকল অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে হামলা চালাবে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি বলেন, ‘বিমানবাহিনী মধ্যপ্রাচ্যে তীব্র হামলা অব্যাহত রাখবে।’
এস/ভি নিউজ